শরীরচর্চা

যে ব্যায়ামগুলো চটজলদি পেটের মেদ কমিয়ে ফেলে

বয়স বাড়ার সাথে সাথে সবারই পেটের মেদ যেন বেড়ে যায়। আবার কারও অতিরিক্ত ফ্যাট খাবার খেয়েও পেটের মেদ বাড়ে।

স্বাস্থ্য সম্পর্কে বর্তমানে সবাই অনেক বেশি সচেতন কিন্তু এই পেটের মেদ প্রতিরোধে ঠিক কী করা উচিৎ, এই বিষয়টি সঠিকভাবে অনেকেই জানেন না। তাই জেনে নিন ঠিক কোন ধরনের শারীরিক ব্যায়ামগুলো আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সহায়তা করে।

১. দৌড়ানো এবং হাঁটা :

অনেকে বলেন হেঁটে বা দৌড়িয়ে ঠিক উপকারটুকু পাই না। কিন্তু প্রতিদিন সঠিক নিয়মে যদি হাঁটেন বা দৌড়িয়ে থাকেন তাহলে দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট এবং ক্যালরি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আসবে। এর জন্য আপনি নিয়ম করে দুই বেলা হাঁটুন। ইতিবাচক ফলাফল আপনি অবশ্যই পাবেন।

২. প্রশিক্ষণ :

আপনি যদি আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ নিঃসরণ করতে চান তাহলে অবশ্যই জিমের প্রশিক্ষনের আওতায় আসতে পারেন। এখানে আপনি জিমে বা নিজস্ব কোনো জিম ইন্সট্রাক্টরের কাছে একটা প্রশিক্ষণ নিতে পাবেন।

এতে করে আপনার পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমতে বাধ্য। আপনি এখানে জগিং করতে পারেন। আপনি হয়ত বিশ্বাস করতে পারবেন না যে মাত্র ৩০ মিনিট জগিংয়ে আপনার ৩০০ ক্যালরি পর্যন্ত কমে আসতে পারে।

৩. বাইসাইকেল চালানো :

পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে হৃদসংক্রান্ত ব্যায়ামের মধ্যে বাইসাইকেল চালানো একটি ভালো ফলাফল আনতে সহায়তা করে। বাইসাইকেল চালালে পায়ের পেশীগুলোতে চাপ পড়ে সাথে সাথে পেটের উপরেও অনেক বেশি চাপ পড়ে।

ফলে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। ৩০ মিনিট সাইকেলিং করলে আনুমানিকভাবে ২৫০-৫০০ ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

৪. বুকডন :

পেটের অতিরিক্ত মেদে চিন্তা না করে শুধু নিয়ম করে কিছু শারীরিক ব্যায়াম করলে তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। যেমন এর জন্য আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে বুকডন দিতে পারেন। দিনে ৪০-৫০ বার বুকডন দিলেই ২০০-৩০০ ক্যালরি নিয়স্ত্রণে আসে পাশাপাশি পেশী শক্ত হয়ে ওঠে।

৫. পায়ের ব্যায়াম :

পায়ের অনেক ধরনের ব্যায়াম আছে। পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে আপনি এর মধ্যে নৌকাসন এবং হলাসন ব্যায়াম দুটি করতে পারেন। নৌকাসনে মোটামুটিভাবে সারা শরীরটাকে নৌকার মত আসনে ওঠানো নামানো হয়ে থাকে।

আর হলাসনে পা দুটোকে উপরে উঠিয়ে আস্তে আস্তে মাথার পিছনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলে পেটে চাপ পড়ে। ফলে পেটের অতিরিক্ত মেদ নিয়ন্ত্রণে আসে।

Related Articles

Back to top button