খাদ্য ও পুষ্টি

‘মেডিসিনাল’ চকলেট আসছে বাজারে!

চকলেট খেতে কে না ভালবাসে! বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাইকেই এর প্রেমে হাবুডুবু খেতে দেখা যায়। থাক না যতই ফ্যাট আর সুগারের মাত্রারিক্ত ব্যবহার, অতি শরীর সচেতন মানুষরাও এর হাতছানি এড়াতে পারেন না।

বেশি চকলেট খেলেই অনেক সময় বলতে শোনা যায়, মোটা হয়ে যাবি। চিকিৎসকরাও বলে থাকেন বাচ্চাদের বেশি চকলেট না খাওয়াতে। একটাই কারণ—ফ্যাট আর সুগার।

কিন্তু এবার সেই কারণকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘মেডিসিনাল’ চকলেট আনতে একটি মার্কিন সংস্থা। সাধারণত চকলেট ৭০ শতাংশ ফ্যাট থাকে। কিন্তু ওই  মার্কিন সংস্থায় কর্মরত বিজ্ঞানীদের দাবি, এই নতুন ধরনের চকলেটে ফ্যাটের মাত্রা খুব কম থাকবে। মাত্র ৩৫ শতাংশ।  চকলেটের মূল উপাদান ‘ক্যাকাও’।

এতে নানা ধরনের অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট আর মিনারেল রয়েছে যা দেহের স্নায়ুতন্ত্রকে রক্ষা করে। স্ট্রোক এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

ক্যাকাও খুব তেতো। তাই অধিকাংশ চকলেট সংস্থাগুলি এর মিষ্টত্ব আনতে প্রচুর পরিমাণে সুগার ব্যবহার করে। ফলে ক্যাকও-এর গুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায় বলে দাবি ওই বিজ্ঞানীদের।

আমেরিকার বস্টনের ওই চকলেট সংস্থা তাই  ক্যকাওয়ের তিক্ততা দূর করার চেষ্টায় বলিভিয়া ও পেরুর এক ধরণের ভেষজ ব্যবহার করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে। সংস্থার দাবি, ওই ভেষজ ব্যবহার করে ক্যাকাওয়ের তিতকুটে ভাবটাকেও যেমন দূর করা গেছে, তেমনি ওর গুণমাণও বজায় রয়েছে।

ফ্যাটের মাত্রাও কমাতে সক্ষম হয়েছে তারা। সংস্থার এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আগামী দিনে তাদের তৈরি চকলেট থেকে ফ্যাট ও সুগারের মাত্রা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, চকলেট থেকে যদি অস্বাস্থ্যকর উপাদানগুলি সরিয়ে দেওয়া যায় তাহলে ওষুধ হিসাবেও একে খাওয়া যেতে পারে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, চকলেটে কৃত্রিম সুইটনার মাত্রারিক্ত ব্যবহারের ফলে শরীরের ওজন বেড়ে যায়, পাশাপাশি, নানা রকম সমস্যাও দেখা দেয়।  আগামী বছরে এই চকলেট বাজারে আনবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

Related Articles

Back to top button