খাদ্য ও পুষ্টিস্বাস্থ্য টিপস

ফল এবং শাকসব্জির যে প্রয়োজনীয় অংশগুলো আমরা ফেলে দিই!

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক দেড় থেকে দুইটি ফল এবং দুই থেকে তিন কাপ শাকসব্জি খাওয়া জরুরি। এটা আরো সহজ হতো, যদি আমরা এসব ফল এবং শাকসব্জির কিছু অংশ ফেলে না দিতাম। এই উচ্ছ্বিষ্ট অংশের মাঝে রয়েছে বীজ, খোসা, ডালপালাসহ আরো অনেক কিছু। আসুন জেনে নেই, কোন ফল বা শাকসব্জির কোন অংশ আমরা ফেলে দিচ্ছি কিন্তু আমাদের জন্য তা জরুরি।

আপেলের খোসা:

কোয়ার্সেটিন নামে একটি এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে আপেলের খোসায়, যা ফুসফুস এবং মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। এই খোসাতে অনেক তন্তু এবং ভিটামিন রয়েছে যা আপেলের ভেতরের অংশের চেয়ে বেশি। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা এটা ফেলে দেই।

শাকের ডাঁটা:

আমরা শাক রান্না করতে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডাঁটা ফেলে দেই। কিন্তু এসব ডাঁটা গ্লুটামিন ও এমাইনো এসিড সমৃদ্ধ, রোগ প্রতিরোধ এবং ক্ষয়পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

কমলার খোসা:

কমলাসহ বিভিন্ন সাইট্রাস এসিড সমৃদ্ধ ফলের খোসায় এমন কিছু রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এসব খোসায় পলিমিথক্সিলেটেড যৌগ থাকে যা দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন রকম প্রদাহ প্রতিরোধ করে।

বীট পাতা:

বীটের মূলটাই মূলত খাওয়া হয় আর ফেলে দেওয়া হয় এর পাতা। কিন্তু এসব পাতা তন্তু, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে সমৃদ্ধ হয়।

তরমুজের খোসা:

তরমুজের খোসায় একধরণের এমাইনো এসিড থাকে, যা এল-সাইট্রালাইন নামে পরিচিত। এটি মাংসপেশীর ব্যথা দূর করে। এছাড়া রক্ত থেকে নাইট্রোজেন অপসারণও করে এই এমাইনো এসিড।

শালগমের পাতা:

শালগমের পাতায় প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে থাকে। এছাড়া এই পাতা তন্তু, আয়রন, পটাসিয়াম সমৃদ্ধও হয়।

আলুর খোসা:

আলুর খোসা প্রচুর তন্তু সমৃদ্ধ হয়। এছাড়া এতে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম থাকে প্রচুর পরিমাণে।

কুমড়ার বীজ:

আধা কাপ কুমড়া বীজ আমাদের দৈনন্দিন চাহিদার চেয়ে বেশি ম্যাগনেসিয়াম ধারণ করে, যা হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা, মাথা ব্যথা এবং অস্টিওপোরসিস প্রতিরোধ করে। কুমড়ার বীজ আয়রন এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধও হয়। এছাড়া এতে ফাইটোস্টেরলস নামে কিছু উপাদান থাকে যা দেহের কোলেস্টেরল কমায়।

Related Articles

Back to top button