গর্ভবতীর যত্নডায়াবেটিস

গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস!

গর্ভাবস্থায় অনেকেই ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এ নিয়ে কথা বলেছেন ডা. শারমিন আব্বাসি শাতাসনীম আরা। বর্তমানে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের প্রসূতি ও ধাত্রী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

প্রশ্ন : গর্ভাব্স্থায় যদি জিডিএমের পরীক্ষা না করানো হয়, কিন্তু গর্ভবতী মা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়, তাহলে মা ও শিশুর কী ধরনের জটিলতা হতে পারে?

উত্তর : মায়ের ক্ষেত্রে বলি, যদি ডায়াবেটিসের প্রাথমিক অবস্থায় গর্ভ ধারণ করে, তাহলে গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। মাঝখানের সময় বিভিন্ন ধরনের জন্মগত ত্রুটি হতে পারে শিশুটির। এ ছাড়া মায়ের প্রি-একলামশিয়া হতে পারে। হঠাৎ করে প্রেশার অনেক বেড়ে যেতে পারে। আরেকটি হতে পারে পলিহাইড্রেমিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে পেট অনেক বড় হয়ে গেল, তার পানি অনেক বেশি চলে এলো।

আরেকটি খুব গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, যেটা মা ও শিশু দুজনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ, সেটি হলো প্রি-টার্ম লেবার। তার স্বাভাবিক অবস্থায় হয়তো ৩৭ সপ্তাহ শেষ করে বা ৪০ সপ্তাহে গিয়ে প্রসব হওয়ার কথা ছিল, না গিয়ে তার ২৯ বা ৩০ সপ্তাহে প্রসব হয়ে গেল। সেই ক্ষেত্রে প্রসব নিয়ে মায়ের প্রস্তুতি থাকে না। আর বাচ্চাটা আগেভাগে হওয়া নিয়ে, তখন বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়।

জিডিএম মায়েদের, গর্ভবতী মায়েদের একটি জিনিস অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যদি ডায়াবেটিস হয়, বাচ্চাটি জন্মগ্রহণ করার পর তার কিন্তু কিছু ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্ত আছে। বাচ্চা হওয়ার পর আমরা হয়তো সেলফি, ছবি তুলতে ব্যস্ত থাকি। তবে একজন ডায়াবেটিক মায়ের ক্ষেত্রে যে কাজটি প্রথমে করতে হবে, সেটি হলো বাচ্চাকে দ্রুত খাবার দিতে হবে। বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

আর বুকের দুধ যদি সম্ভব না-ও হয়, এখানে বলা আছে, কৃত্রিম দুধও খেতে দিতে হবে। আপনি বাইরের দুধও বাচ্চাকে দিতে পারবেন। কেন পারবেন? কারণ, বাচ্চার হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি থাকবে। ডায়াবেটিস মায়ের জন্মের সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চারও কিন্তু একটি ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়। সবাই এটা মাথায় রাখবেন, বাচ্চার যদি রক্তের শর্করার পরিমাণ উচ্চ থাকে, ধরেন ৭ বা ৮, তাহলে আপনি খুশির থেকে দুঃখিত বেশি হবেন। কারণ, এই বাচ্চা তত বেশি তাড়াতাড়ি হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় চলে যাবে। তাই ওর খাবার তাড়াতাড়ি শুরু করাতে হবে।

Related Articles

Back to top button