দাঁতের যত্ন

যে দশটি জিনিস মনে না রাখলে অকালে নস্ট হবে আপনার দাঁত

১.সঠিক টুথব্রাশ Toothbrush বাছাই করুন: যে টুথব্রাশটির উপরের শলাকাগুলো অতিরিক্ত শক্ত নয় আবার নরমও নয় অথচ ব্রাশের হেন্ডেল হাতের আঙ্গুল দিয়ে ধরার জন্য যথেষ্ট সুবিধাজনক এবং মুখের সকল দাঁতের অবস্থান অর্থাত্ দাঁতের উপর নীচ এবং ভিতরে বাহিরে সহজে আনা নেয়া করা যায় সেরকম টুথব্রাশ বেশী কার্যকর। খেয়াল রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত শক্ত ব্রাশ আপনার নরম মাড়িকে আঘাত না করতে পারে। তাছাড়া আজকাল ইলেকট্রনিক ব্রাশও ব্যবহার করা নিরাপদ। ইলেকট্রনিক ব্রাশের সাহায্যে অতি সহজে দাঁতের সকল এলাকা বা স্থান থেকে খাদ্য কণা দূর করা যায়। তবে যাদের হাতে, কনুই বা ঘাড়ে আথ্রাইটিস (Arthrities) আছে তাদের জন্য ইলেকট্রনিক ব্রাশ নিরাপদ অথবা যাদের হাত দিয়ে ভালোভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দাঁত ব্রাশ করতে সমস্যা হয় তাঁদের জন্যও ইলেকট্রনিক ব্রাশ নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যম। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা ইলেকট্রনিক ব্রাশ ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করছেন।
২. কতটুকু সময়: আপনি কি সময়মত দাঁত ব্রাশ করেন, বিজ্ঞানীরা বলেন, প্রতিদিন দুই বেলা ব্রাশ করা প্রয়োজন তবে তিনবার করতে পারলে অতি উত্তম। দাঁত ব্রাশের জন্য দুই মিনিটই যথেষ্ট সময়। মুখের ভিতরে বিভিন্ন স্থানকে ৪টি স্তরে ভাগ করা যায় যেমন ডান দিকের উপরে নীচে এবং বাম দিকের উপরে নীচে এবং প্রতি স্তরের জন্য ৩০ সেকেন্ড সময় নির্ধারণ করা যায়। অনেকে টিভি দেখতে দেখতে বা গল্প করতে করতে বা অন্য কিছু কাজে সময় ব্যয় করতে গিয়ে দীর্ঘক্ষন দাঁত ব্রাশ করেন তাদের মধ্যে বেশীর ভাগেরই এনামেল ক্ষয় হয়ে এরোসন বা এট্রিশন হতে পারে এবং দাঁত অতি সংবেদনশীল হয়ে ঠান্ডা পানি বা গরম চা তে দাঁত শিরশির করতে পারে। এক্ষেত্রে বিশেষ এক ধরণের টুথ পেইস্ট এবং  ডেন্টাল ফিলিং প্রয়োজন হয়।
৩. অতিরিক্ত ঘষাঘষি বা শক্তভাবে ব্রাশ না করা: দেখা গেছে অনেকে ভেবে থাকেন যে জোরে জোরে এবং শক্তভাবে ব্রাশ দিয়ে দাঁত ঘষলে তাড়াতাড়ি ময়লা দূর হয় ,দাঁত ধবধবে সাদা হয়। আসলে কিন্তু তা নয় এই অতিরিক্ত ঘষাঘষির ফলে দাঁতের ক্ষয় হয় এবং এনামেল উঠে যায় অনেকক্ষেত্রে মাড়িও ক্ষয় হয়। তাই খুব ধীরে ধীরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দাঁত ব্রাশটিকে সবদিকে নিতে হবে। যেন দাঁতের কোনো অংশ বাদ না পড়ে।
৪. সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার: বিশেষজ্ঞরা বলছেন দাঁত ব্রাশটিকে প্রথমে মাড়ির থেকে ৪৫ ডিগ্রী এংগেলে বা কোনাকুনি বসিয়ে সকল জায়গায় ব্রাশ করতে হবে। দাঁত ব্রাশ দাঁতের বাহিরের অংশ এবং ভিতর দিককার অংশ এবং সেই সাথে  জিহ্বার উপরিভাগও ব্রাশ করতে হবে, সত্যি কথা হলো ,দাঁতের কোনো স্থানেই এমনকি জিহ্বাতেও যেনো খাদ্যকণা লেগে না থাকে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
৫. মাঝে মাঝে দাঁত ব্রাশ এর শুরুটা পরিবর্তন করুন: আপনি কি সবসময় একই জায়গা থেকে দাঁত ব্রাশ শুরু করেন। আমরা কিন্তু অনেকেই তা করি। সেটা না করে আমরা যদি প্রতিদিন উপরের পাটি থেকে শুরু না করে ভিন্ন সময় ভিন্ন স্থান থেকে ব্রাশ করি তবে অনেক উপকার পাওয়া যায় যেমন আজ আমি উপরের পাটি থেকে শুরু না করে ভিতরের পাটি থেকে ব্রাশ শুরু করতে পারি এবং সামনের পাটির দাঁত ব্রাশ দিয়ে শেষ করতে পারি তাতে অভ্যাস পরিবর্তনের সাথে সাথে সাথে অনেক বেশি কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে।
৬. কোন ধরণের টুথটেস্ট ব্যবহার করবেন: অনেক সময় আমরা টিভি বা রেডিও বিজ্ঞাপন শুনে বা দেখে টুথপেস্ট ব্যবহার করি এবং বলা হয় এগুলো দাঁতকে অনেক ঝকঝকে  সাদা করে বা অনেক শিরশির দাঁতকে ভাল করে ইত্যাদি নানা বিজ্ঞাপন। কিন্তু,আসলে কি সব সত্যই তাই, আপনার ডেন্টিস্ট এর কাছে জেনে নিন কোন টুথ পেস্ট আপনার জন্য ভালো। কারণ দাঁত শিরশির করার জন্য ব্যবহূত টুথ পেস্ট দীর্ঘদিন ব্যবহারে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশী। সবচেয়ে উত্তম হচ্ছে যেকোন ফ্লুরাইড Fluoride মিশ্রিত টুথপেস্ট নিয়মিত ব্যবহার করা, তবে কয়লা, পাউডার ইত্যাদি উপাদান দাঁতের জন্য ক্ষতিকর  হতে পারে।
৭. অতিরিক্ত সফট ড্রিংকস (Soft Drinks) দাঁতের জন্য ক্ষতিকর: অনেক ধরণের এনার্জি ড্রিংকস, ডায়েট সোডা বা চকলেট টফি এমনকি স্বাস্থ্যকর পানীয় যেমন আপেল, অরেঞ্জ জুস এবং কফি আপনার দাঁতের এনামেলকে সহজেই ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। তাই এই জাতীয় খাবার পর দাঁত ব্রাশ করা জরুরী। কারণ টক জাতীয় খাবার দাঁতের এনামেলকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।
৮. ব্রাশ পরিষ্কার রাখুন: আপনি কি দাঁত ব্রাশের পরে ব্রাশটিকে ভালোভাবে ধুয়ে মুছে রাখেন। ব্রাশটিকে অবশ্যই পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে হবে। কারণ আপনার মুখের ভিতরের খাদ্যকণা, ময়লা কিন্তু ব্রাশের সাথেই

Related Articles

Back to top button