দাঁতের যত্নস্বাস্থ্য টিপস

দাঁতের যত্ন নিন ৭টি উপায়ে

দাঁতের যত্ন নিয়ে অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। কিন্তু সময়ের অভাবে এর আগে আমরা দাঁতের যত্ন নিয়ে পোস্ট দিতে পারিনি।ভুল উপায়ে এই দাঁতের যত্ন নিলে লাভ হবে না বরং পুরোটাই ক্ষতি হবে। আকর্ষণীয় দাঁত পেতে আমাদের নিতে হবে দাঁতের সঠিক যত্ন, যা আমরা বেশিরভাগ মানুষই করিনা। কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে আমাদের দাঁত এবং মাড়ি প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

চলুন দেখে নিন কিভাবে দাঁতের যত্ন নিতে হবে ৭টি উপায়ে

১) পরিষ্কার টুথব্রাশ

অনেকেই টুথব্রাশ বারবার ধুতে থাকেন এমনকি তা জীবাণুমুক্ত রাখার জন্য ওভেনের ভিতরেও রাখেন। এতে অনেক ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস হয়ে যায়। পরিষ্কার কোন জায়গায় রাখলে এবং দাঁত ব্রাশ করার আগে অল্প একটু ধুয়ে নিলেই তা যথেষ্ট।

২) শক্ত ব্রাশ ব্যবহার বর্জন করুন: দাঁত বেশি পরিষ্কার হবে ভেবে অনেকেই শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করে থাকেন। এতে দাঁতের প্রয়োজনীয় এনামেল দূর হয়ে যায় এবং দাঁতের গোড়ায় চামড়া ছিলে যায়। তাই নরম ব্রাশ ব্যবহার করা উত্তম।

৩) মনোযোগ দিয়ে দাঁতব্রাশ করুন: সময় স্বল্পতার কারণে সকালে অনেকেই একসঙ্গে কয়েকটা কাজ করেন। যেমন, দাঁত ব্রাশ করতে করতেই গোসল করছেন বা মেইল চেক করছে আবার কেউ রান্না ঘরে গিয়ে ছোট-খাটো কাজ করেন। এসময় হুট করে দাঁতের কিংবা মাড়িতে আঘাত লেগে যায়। তাই ভালো দাঁত পেতে হলে দাঁত ব্রাশ করতে হবে মনোযোগ দিয়ে। যাতে দাঁতের কোন অংশ যাতে বাদ না পড়ে এবং ভালোভাবে পরিষ্কার হয়।

৪) ধূমপান ত্যাগ করুন

ধূমপান শুধু আমাদের ফুসফুসেরই ক্ষতি করে না বরং দাঁত নষ্ট করার জন্য এটি অনেকাংশে দায়ী। ধূমপানের ফলে মাড়ি কালো হয়ে যায়, দাঁত দুর্বল হয়ে পড়ে এমনকি মুখে দুর্গন্ধও হয়।

৫) টুথপিক থেকে দূরে থাকুন

দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে থাকলে তা টুথপিক দিয়ে খুঁচিয়ে বের করার অভ্যাস অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু কাঠের তৈরি এসব টুথপিক ভেঙে দাঁতের মধ্যে থেকে যেতে পারে অথবা জোরে জোরে দাঁত খোঁচালে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। তাই এ অভ্যাসটি বর্জন করাই ভাল।

৬) মাসে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিন: আমরা নিয়মিত ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না। এই অবহেলার কারণে আমাদের দাঁতের মান ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাই প্রতি ৬ মাসে অন্তত একবার দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নেয়া উচিৎ।

৭) পরিমাণমত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণ করুন: হাড় এবং দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি’র বিকল্প নেই। তাই পরিমাণ মত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি গ্রহণের দিকে খেয়াল রাখতে রাখুন।

Related Articles

Back to top button