এবছর মাইকে ডেকেও যাত্রী মিলছে না ঢাকার বাস কাউন্টারে
প্রতি বছর ঈদের আগমুহূর্তে থাকে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। অনেকেই ট্রেন বাসের অগ্রিম টিকিট কেটে রাখেন আবার অনেকেই শেষ মুহূর্তে এসে টিকিটের আশায় অনেক চেষ্টা করেন তবে এবারের ঈদে সেই চিত্র কিছুটা হলেও ভিন্ন।
বিআরটিসি ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের টিকিট বিক্রেতা আব্দুল খালেক বলেন, যাত্রীদের অবস্থা দেখতেই পাচ্ছেন। মাইকে ফোন করেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এ বছর বেশি যাত্রী নেই।
এই টিকিট লন, টিকিট লন ভাই। ঈদ স্পেশাল, ঈদ স্পেশাল। আগে আসলে আগে পাবেন….’
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গাবতলীর বিআরটিসি বাস ডিপোর ঈদ স্পেশাল সার্ভিস কাউন্টারে এমন শব্দ শোনা যাচ্ছে।
কোনো যাত্রী নেই। মাইক বাজিয়ে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। সেখানে কথা হয় রংপুরের যাত্রী শাহ আলমের সঙ্গে।
তিনি বলেন, “আমি এসেই টিকিট কিনেছি। অন্য বছরের মতো চাপ নেই, ভিড় নেই। যাত্রীরা ডাকছে।
বিআরটিসি ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের টিকিট বিক্রেতা আব্দুল খালেক বলেন, যাত্রীদের অবস্থা দেখতেই পাচ্ছেন। মাইকে ফোন করেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এ বছর বেশি যাত্রী নেই।
গোপালগঞ্জ যাত্রী সজিব মোল্লা বলেন, সাড়ে ১০টায় গাবতলী আসছি। ১১ টার বাসের টিকিট বুক করেছি, কিন্তু সিট কভার পেয়েছি। আমি যদি এক ঘন্টা অপেক্ষা করতাম তবে আমি একটি ভাল সিট পেতাম, তবে এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাড়ি পৌঁছানোর চেয়ে সিট বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
“এত অল্প সময়ের মধ্যে আসা-যাওয়া করতে পারাটা দারুণ। অন্য বছর গুলোতে মনে হয় ভেঙ্গে যাবে। তখন কত কষ্ট।’
গোপালগঞ্জ রুটে চলাচলকারী কমফোর্ট লাইন পরিবহনের শ্যামল বালা বলেন, গতকালের মতো আজও অবস্থা। গতকাল ভোর থেকে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা চাপ থাকলেও আজ কোনো চাপ নেই। এটা অন্য সময়ের মত স্বাভাবিক।
ঈগল পরিবহনের জয়ন্ত রায় চৌধুরী বলেন, ‘এ বছর আমরা ট্রিপ কমিয়েছি। যাত্রী সংখ্যা কম হওয়ায় বাসের সংখ্যা বাড়ানো হয়নি। যাত্রীরা সবাই সায়েদাবাদ থেকে পদ্মা সেতু যাচ্ছেন।
এবারে ঈদে তুলনামূলক বাস যাত্রীদের সংখ্যা কমেছে এবং রাস্তায় ও তেমন মানুষের চাপাচাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। গাবতলী টার্মিনাল এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে ডিউটি করছি। রাস্তায় স্বাভাবিকের চেয়ে কম চাপ।অনেকটা ফাঁকা। রাস্তাঘাটে ঈদ যাত্রার স্বাদ নেই।