opinionদৈনিক খবর

‘চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশন’ এর মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে সেই প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে : সঞ্জু

সম্প্রতি দেখা গিয়েছে প্রথম আলো পত্রিকার সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আটক করা হয়েছিল এবং এই ঘটনাটি নিয়ে সারা দেশে এমনকি আন্তজার্তিক গণমাধমে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয় এবং সেই সাথে এই ঘটনার জন্য অনেকেই নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। এই প্রসঙ্গ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখক আব্দু হাই সঞ্জু। নিচে তার স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল-

সারা দুনিয়া জানে, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে আটক করা হয়েছে। পরে চালাকি করে তাঁকে ‘চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশন’ এর মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে।

এখন কেউ একজন উচ্চ আদালতে একটি রিট করতে পারেন। রিটের বিষয় হতে পারেঃ
বাংলাদেশে ১১ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের শিশুশ্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না?
সাভারের স্মৃতিসৌধে আসা শিশু সবুজ এই বয়স ভিত্তিক গ্রুপে পড়ে।
শেখ হাসিনার শাসনামলেই ২০১০ সালে প্রণীত জাতীয় শিশুশ্রম নির্মূল নীতিমালায় ২০১৬ সালের মধ্যে শিশুশ্রম নির্মূল করার কথা বলা হয়েছে।

২০১৬ সাল পেরিয়ে এখন ২০২৩ সাল। উন্নয়নের ঠেলায় দেশ ভেসে যাচ্ছে। দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। অথচ শিশুশ্রম এখনও বাংলাদেশে বৈধ।

১৭ এপ্রিল প্রকাশিত মানবজমিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছেঃ
” গত ১৩ই এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দ্য ডেইলি স্টার সেন্টারে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে ঘটনার সূত্রপাত। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি’র সহায়তায় ‘শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার: আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে?’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছিল সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি)। কিন্তু, সংশ্লিষ্ট সকল মহলের স্টেকহোল্ডাররা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটপণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) এবং সরকারের (যেমনঃ শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর) কোনো প্রতিনিধিকে ওই অনুষ্ঠানে দেখা যায় নি!

এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘আমি লক্ষ্য করছি যে, আজ এখানে সকল স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত হন নি। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ এর কোনো প্রতিনিধিকে এখানে দেখতে পাচ্ছি না। সিকিউরিটি সার্ভিসের লোকজন ব্যতীত সরকারের অন্যকোনো প্রতিনিধিকেও দেখতে পাচ্ছি না।’ শুধু তাই নয়, এ ঘটনার ইঙ্গিত কি হতে পারে সেদিকে দৃষ্টিপাত করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, এই ঘটনার মাধ্যমে কি সিগন্যাল দেয়া হয়েছে সেটা নিয়ে আমাকে ভাবতে হবে। সরকার কেন নীতিনির্ধারকদের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব না করে কেবল সিকিউরিটি সার্ভিসের মাধ্যমেই করলো।’

…বাংলাদেশ যেহেতু এলডিসি থেকে উত্তরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাই বাংলাদেশের কাছ থেকে আরও বেশি আশা করা হবে।”

Related Articles

Back to top button