জেনে রাখুনরোগ ব্যাধি

‘শ্বেতি ছোঁয়াচে রোগ নয়, চিকিৎসায় ভালো হয়’

শ্বেতি ছোঁয়াচে রোগ নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসায় এই রোগ ভালো হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন চিকিতসকেরা। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব শ্বেতি দিবস-২০১৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চিকিত্সকেরা এ কথা বলেন। জাতীয় শ্বেতি ফাউন্ডেশন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

চিকিৎসকেরা বলেন, অসচেতনতার কারণে শ্বেতি রোগীদের সামাজিক জীবন সীমিত হয়ে পড়ে।

জাতীয় শ্বেতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এম ইউ কবীর চৌধুরী বলেন, রং তৈরি করার কোষ অকার্যকর হলে ত্বকের রং বিবর্ণ হয়ে যায়, এটাই শ্বেতি। শ্বেতি হলে তা শরীরের অন্য কোনো অঙ্গে বিরূপ প্রভাব ফেলে না। করমর্দন, আলিঙ্গন বা অন্য কোনোভাবে এই রোগ সংক্রমিত হয় না। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কুষ্ঠ ও শ্বেতি এক বা একই ধরনের রোগ নয়। কুষ্ঠ ছোঁয়াচে। কুষ্ঠ হলে ত্বক মোটা হয়ে যায়, আঙুলে অনুভূতি কমে যায়। তবে শ্বেতি হলে ত্বক পাতলা হয়ে যায়, অনুভূতির কোনো সমস্যা হয় না।

বারডেমের ল্যাব সায়েন্স বিভাগের পরিচালক শুভাগত চৌধুরী বলেন, ‘শ্বেতি নিরীহ, নির্দোষ রোগ। এই রোগ ত্বককে বিবর্ণ করে মাত্র, শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলে না।

হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৈয়দ আফজালুর রহমান বলেন, শ্বেতি চিকিৎসাযোগ্য রোগ। ওষুধে এর চিকিৎসা আছে, শল্য চিকিৎসাও আছে। তিনি বলেন, ‘চিকিত্সকেরা একজন রোগীর পরিবারকে সচেতন করতে পারি। কিন্তু গণমাধ্যম দেশকে সচেতন করতে পারে।

জাতীয় শ্বেতি ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোড়ল নজরুল ইসলাম বলেন, দরিদ্র শ্বেতি রোগীদের চিকিত্সা ও মানুষকে সচেতন করার জন্য ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা হয়েছে। একটি পূর্ণাঙ্গ শ্বেতি রোগ চিকিত্সাকেন্দ্র গড়ে তোলার চেষ্টা তাঁরা করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন,  শ্বেতি রোগের প্রধান সমস্যা সামাজিক। রোগী নারী হলে এই সমস্যা আরও বেশি বেড়ে যায়। শ্বেতি রোগে আক্রান্ত নারীদের বিয়ের ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেন, রোগটি সম্পর্কে ধারণা না থাকার কারণে এমন হয়। পশ্চিম দুনিয়ায় এ নিয়ে সমস্যা নেই।

তারা জানান, এই রোগকে ধবল রোগ, সাদা রোগ বা শ্বেতকুষ্ঠও বলা হয়। দুই হাজার বছর আগেও এই রোগ ছিল। দেশে কত মানুষ এই রোগে আক্রান্ত, তার অবশ্য

Related Articles

Back to top button