গর্ভবতীর যত্ননারীর স্বাস্থ্যস্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য

গর্ভবতীরা মেকআপ ব্যবহার করলে শিশুর বুদ্ধি কম হয়!

গর্ভধারণের পুরো সময়টাই নারীদের নানা সাবধানতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ঝুঁকি এড়াতে সাবধানে চলাফেরা এবং খাওয়া-দাওয়া করতে হয় হবু মায়েদের। তাদের সবসময় এটা মাথায় রাখতে হয়, কোনো সিদ্ধান্ত শুধু তার একার নয়, গর্ভের শিশুর ওপরও প্রভাব ফেলবে। তাই বলে সাজগোজ করার আগেও যে ভাবতে হবে, তা কি কেউ ভেবেছেন? হবু মায়েদের আর সব সতর্কতামূলক ব্যবস্থার সঙ্গে এ বিষয়টিও জুড়ে দেওয়ার সময় এসেছে।

 কারণ, সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, গর্ভবতীরা মেকআপ ব্যবহার করলে শিশুর বুদ্ধি কম হয়। মেকআপে ব্যবহৃত বিভিন্ন রাসায়নিকের প্রভাবেই এমনটা হয় বলে জানান তারা। নিউইয়র্কের গবেষকরা চার ধরনের রাসায়নিকের অস্তিত্ব পেয়েছেন চুল শুকানোর যন্ত্র, নেল পলিশ, লিপস্টিক, হেয়ার স্প্রে এবং বিভিন্ন সাবানে।

মার্কিন বিজ্ঞানীরা এ বিতর্কিত গবেষণায় দেখান, প্রসাধনসামগ্রীতে ব্যবহৃত মানুষের তৈরি এ রাসায়নিকগুলো গর্ভের শিশুর জন্য ক্ষতিকর।

এমনকি জন্মের পর শিশুর বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিকের চেয়ে ছয় ধাপ কমিয়ে দিতে পারে! নিউইয়র্কের ৩২৮ জন মা ও তাদের সন্তানের ওপর জরিপ চালিয়ে তারা দেখেন, প্রসাধন ব্যবহারকারী মায়েদের শতকরা ২৫ ভাগের শিশুর আইকিউ স্বাভাবিকের চেয়ে কম।

শিশুর বুদ্ধির বিকাশে মায়ের বুদ্ধিমত্তা এবং পারিবারিক পরিবেশের অবদানের কথাও স্বীকার করেছেন তারা। তবে এর পরই মেকআপের রাসায়নিকের প্রভাবের অবস্থান বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।

শুধু প্রসাধনসামগ্রীই নয়, পিভিসি দরজা, পর্দা, এমনকি গাড়ির ড্যাশবোর্ড তৈরিতেও আজকাল এ উপাদান ব্যবহার করা হয়। মানবসৃষ্ট এসব রাসায়নিক শিশুর পাশাপাশি মায়ের শরীরের জন্যও ক্ষতিকর।

এদের সূক্ষ্ম কণা খাবার এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে দেহে ঢুকে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিষেধ সত্ত্বেও নামিদামি কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যে এসব উপাদান ব্যবহার করছে। তাই প্রসাধন ব্যবহারের আগে এতে কী কী রাসায়নিক আছে, তা দেখে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

Related Articles

Back to top button