জেনে রাখুনস্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য

যেসব বিচ্ছিরি বদ অভ্যাসে আপনার সুন্দর দাঁতের হয় মারাত্মক ক্ষতি

বলা হয়ে থাকে সব নেশাই বদ অভ্যাস। কিন্তু সব বদ অভ্যাস নেশা নয়। কিছু কিছু বদ অভ্যাস দাঁতের ক্ষতি করে। দাঁতে সৌন্দর্য হানি তো হয়ই, সাথে স্বাস্থ্যের ওপরেও মারাত্মক প্রভাব পড়ে। কিন্তু কোনগুলো দাঁতের জন্য বদঅভ্যাস আর সেগুলো দূর করবেন কীভাবে? আসুন, আজ জেনে নেই এই ব্যাপারে মুখ ও দন্ত রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোঃ ফারুক হোসেনের পরামর্শ।

কলম বা পেন্সিল কামড়ানো :

সাধারণত শিশু এবং কিশোরদের মধ্যে কলম বা পেন্সিল কামড়ানোর বদ অভ্যাস লক্ষ্য করা যায়। এ অভ্যাস ক্রমাগত চলতে থাকলে ভবিষ্যতে দাঁত আঁকাবাঁকা বা উঁচু-নিচু হতে পারে। এ অভ্যাস ত্যাগ করতে না পারলে অবিলম্বে ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিতে হবে।

নখ কামড়ানো :

দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানোর বদ অভ্যাস অনেকেরই আছে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের মাঝে এ বদ অভ্যাস বেশি দেখা যায়। মনোচিকিৎসকের মতে যারা মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভোগেন অথবা কোনো সিদ্ধান্তহীনতায় থাকেন তারাই এটি বেশি করে থাকেন। নখ কামড়ানোর ফলে খাদ্য হজমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এর ফলে দাঁত সামান্য হলেও আঁকাবাঁকা হবে।

নখের মধ্যে অবস্থিত দূষিত পদার্থ বা ব্যাকটেরিয়া মুখের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সামনের দাঁতে যদি কোনো ফিলিং থাকে তাহলে নখ কামড়ানোর ফলে সেটি পড়ে যেতে পারে।

পান-সিগারেট খাওয়া :

পান-সুপারি খাওয়ার ফলে দাঁত ক্রমান্বয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। অনেকের মাঝে ভুল ধারণা রয়েছে যে, পান খেলে দাঁত ক্ষয় হয় না। কথাটি মোটেই সত্য নয়। পানের প্রলেপ এবং জীবাণুর প্রলেপ মিলিত হয়ে মাড়ির মারাত্মক রোগ সৃষ্টি হয়।

ধূমপানের ফলে মুখে আলসার থেকে ক্যান্সারসহ যে কোনো রোগের উৎপত্তি হতে পারে। ধূমপানের ফলে দাঁতে দাগ পড়ে। মুখে কোনো ঘা দেখা দিলে ধূমপানের কারণে তা সারতে দেরি হয়।

চোষার বদ অভ্যাস :

আঙুল দোষা বা অন্য যে কোনো পদার্থ চোষাই হোক চোষার বদ অভ্যাসের কারণে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। চোষার অভ্যাস ক্রমাগত চলতে থাকলে উপরের দাঁতের পাটি উঁচু হয়ে যায়। ফলে মুখের স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়।

শক্ত কিছু কামড়ানো :

অনেককে দেখা যায় সামনের দাঁত দিয়ে কোনো বোতলের মুখ বা ছিপি খোলার চেষ্টা করেন। এতে সামনের দাঁত ভেঙে যেতে পারে। তখন দাঁতের রুট ক্যানেল থেকে শুরু করে ক্যাপ পর্যন্ত পরাতে হতে পারে। এ বদ অভ্যাস ছাড়তে না পারলে প্রথমে মনোচিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ডেন্টাল সার্জনেরও পরামর্শ প্রয়োজন হয়।

Related Articles

Back to top button