ঔষুধজেনে রাখুনশিশুর স্বাস্থ্য

শিশুকে কফ সিরাপ, প্যারাসিটামল খাওয়াচ্ছেন? সাবধান!

আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। এই সময়ই ‘দাঁত-নোখ’ বের করে ভাইরাসরা। একটু অসচেতন হলেই ব্যাস! জ্বর নিয়ে বিছানায়। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময়টা তো আরো চিন্তার। শিশু বয়সে এমনিতেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়। আর ‘সিজন চেঞ্জ’-এর সময় একটু এদিক ওদিক হলেই, জ্বর, সর্দি, মাথা যন্ত্রণা।

শিশু জ্বর বা সর্দি, কাশিতে কষ্ট পেলে, ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্যও অনেক সময় তর
সয় না মা-বাবাদের। নিজেরাই কোনো ট্যাবলেট বা সিরাপ খাইয়ে প্রাথমিক চিকিৎসাটা সেরে ফেলেন। অনেকে ক্ষেত্রে দেখা যায়, শিশুর জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই মা-বাবারা হাতের কাছে থাকা এমন কিছু ওষুধ খাওয়াচ্ছেন, যা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি। যেমন ধরুন, কফ সিরাপ বা প্যারাসেটামল। এই ধরনের অভ্যাস যদি আপনার থাকে, তবে অবিলম্বে তা বন্ধ করুন। কারণ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ওই ওষুধ বাচ্চাটির পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটি অর্ধেক প্যারাসেটামল ট্যাবলেটও কোনো শিশুকে খাওয়ালে, তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ভয়াবহ হয়। বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ তনু সিঙ্ঘলের কথায়, ‘প্রাপ্তবয়স্কদের ওষুধ শিশুদের উপর প্রয়োগ করতে আমরা সবসময় নিষেধ করি। কারণ প্রাপ্তবয়সকদের জন্য তৈরি ওষুধের রাসায়নিক ফর্মুলা বাচ্চাদের রোগপ্রতিরোধ সিস্টেমের সঙ্গে খাপ খায় না। এর জেরে নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয় শিশুরা।’

এমনকি প্রাপ্তবয়স্কদের ওষুধ অর্ধেক ডোজ-ও শিশুদের খাওয়াতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পিসি অ্যালেকজান্ডারের পরামর্শ, শিশুদের কখনোই পূর্ণবয়স্কের সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয়। সুতরাং নির্দিষ্ট ধারণা না থাকলে, যেকোনো পূর্ণবয়স্কদের ওষুধ খাইয়ে দেয়া ঠিক নয়। এতে সাময়িকভাবে বাচ্চাটি যদি সুস্থ হয়েও যায়, ভবিষ্যতে বিপদের আশঙ্কা থেকে যায়।

Related Articles

Back to top button