চুলের যত্নজেনে রাখুন

চুল পাকার কারণ কি ? এবং এর প্রতিকার

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথার চুল পাকা একটি বিব্রতকর সমস্যা। যা অনেক সময় আমার মত অনেকেই আছেন হয়তো আয়নার সম্মখে যাওয়ায়ই হয় না প্রতিদিন . আর গেলে ও চুল গোঁফ এ সবের দিকে তাকানোর খেয়াল করি না । তার পর ও হঠাত যখন চুখে পরে কয়েক টা চুল সাদা হয়ে গেছে, বা মাসে মাসে বাড়তেছে, তখন লুকিয়ে ও না হয় আয়নার দিকে তাকাতে ইচ্ছা করে , কথাটি সত্য বললাম কি না জানি না – তখন নিজে নিজকে প্রশ্ন করলে বিশ্বাস ও হবে না , বয়স যে চলে যাইতেছে, অথচ আমরা সবাই মনের দিক দিয়ে এখন ও ভিশন আত্মবিশ্বাসী স্টিল ইয়ং !! বা কেউ কেউ ভিন্ন ওজুহাতে চুলের ভিন্ন ধরণের কালার ব্যাবহার করা শুরু করে দেন অথবা গৃহিণী কে দিয়ে সপ্তায় সপ্তায় পাকা চুল গুলো উঠিয়ে নেন ।

যদি ও প্রথম কয়েক মাস বেঁচে যাওয়া যায় এভাবে , তার পর চলে আশে দাড়ি গোঁফের চুল পাকা নিয়ে , তখন আগের চাইতে সপ্তায় একদিন বেশি সেইভ করা বাড়িয়ে নেন কেউ কেউ । এ জন্য সু খবর আসতেছে আগামি বছর ? সবাই যখন ধৈর্য ধরেছেন তা হলে আর মাত্র কয়েক টা মাস ধৈর্য ধরুন- এপ্রিল ১৫। ২০১৫ এর ভিতরে বাজারে ঔষধ চলে আসবে, এতে ২৭ টি টেবলেট থাকবে এবং ইহা সেবনের পর যাদের চুল সাদা তাদের চুল কাল হয়ে যাবে বা যাদের চুল অল্প অল্প করে কিছুটা সাদা হইতেছে , তাদের চুল আর কখন ও সাদা হবে না ।

ইউকে ব্রেডফোরড লুরেল গ্রোফের চেয়ারম্যান সাহেব ১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন, সর্ব প্রথম তাদের কোম্পানি ই এই ঔষধ টি বাজারজাত করবে- যেহেতো বিজ্ঞানিরা আবিস্কার করেছেন গত বছর এখন শুধু আইনগত অনুমোদন এবং এই সব বিষয়ে অন্যান্য জটিলতা কাঠিয়ে উঠার বাকি , ঔষধ টি পুরুষ/ মহিলা উভয়ের জন্য সমান ভাবে কার্যকর— সত্যি ই যদি ঔষধ টি বাজারে আসে তা হলে আমাদের মত যাহারা আগামি যোগে চুল পাকার কারনে সামাজিক ভাবে বয়স্কের চাপ বেড়ে গেছে বলে মনে হবে না , তবে সেই সাথে যদি পরম করুনাময় আমাদের দৈহিক অবকাঠামো সুন্দর ও সুস্থ রাখেন, তা হলে খুব বেশি একটি মজার বিষয় তৈরি হবে , যারা চুল পাকা দেখে বয়স নির্ধারণ করেন তাদের জন্য –তখন, কার বয়স বেশি এবং কার বয়স কম বলা অস্মভ হয়ে যাবে ।
এখন জেনে নিন বৈজ্ঞানিক ভাবে চুল কেন সাদা হয় তার কারনঃ

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল কেন পাকে তার সঠিক কারণ নির্ণয় করেছেন অধ্যাপক কারিন শেলারয়টার ও তার সহযোগি গবেষকরা । বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলের গোড়ায় জমা হতে থাকে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড নামের একটি রাসায়নিক উপাদান। চুলের গোড়ায় জমা হওয়া এই হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড শেষ পর্যন্ত ব্লিচিং উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং চুলের আসল রং নষ্ট করে সাদা করে দেয় এবং এই সুত্র ধরেই মূলত আগামি বছর নতুন ঔষধ টি আসতেছে । যাকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বলতে পারেন ।

কিন্তু মানশিক দুশ্চিন্তার কারনে যে চুল সাদা হয় ইহা সরা সরি মানতে নারাজ , তবে অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে চুলের স্টেম সেলগুলো অদৃশ্য হয়ে যায় বা শরীরে যে হরমোন নিঃসৃত করে সেটি চুলের রং ধরে রাখার কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বা ধ্বংস করে তখন আমাদের চুল পাকতে শুরু করে , কিছু কিছু ক্ষেত্রে কম বয়সীদের ও এভাবে চুল হঠাত করে পাকতে দেখা যায় । এত দিন শুধু জানা ছিল, মাথার ত্বকে ফলিকল ও মেলানোসাইটস নামের কোষ চুলের রঙের জন্য দায়ী কিন্তু মেলানোসাইটসই মূলত চুলের রং উৎপাদনের কাজটি করে। তবে ঠিক কী কারণে বা কী প্রক্রিয়ায় চুল পেকে এর রং বদলে ধূসর বা সাদা হয়ে যায়, তা জানা ছিল না। গবেষণায় ‘ডবি্লউএনটি’ নামের একটি প্রোটিনের সন্ধান পেয়েছেন , যা মেলানোসাইটসকে প্রভাবিত করার মাধ্যমে চুলের রঙের তারতম্য ঘটায়। গবেষক মিস মায়ুসি জানিয়েছেন, তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন, ডবি্লউএনটি প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুল পেকে রং ধূসর ও সাদা হতে শুরু করে। গবেষকরা বলছেন, চুলের রং বদলে যাওয়ার প্রকৃত কারণটি এবার জানা সম্ভব হওয়ার ফলে এর কার্যকর সমাধানও পাওয়া গেছে এবং সেই সুত্র অনুসারেই মূলত বাজারে ঔষধ আসতেছে ।

সাধারণত ২৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সের মানুষের মধ্যে শতকরা প্রায় ২৫ জনের চুলে পাকা শুরু হয় এবং যদি এই পাকার পরিমান বেড়ে ৫০% এ দাঁড়ায় তাহলে মনে করতে হবে যে কোন রোগের কারনে হইতেছে । এর মধ্যে প্রধান যে কারন থাকতে পারে তা নিম্নে অতি সঙ্কেপে আলোচনা করলাম – যদি ও অনেক কারনেই চুলের স্বাভাবিক রঞ্জক কার্যক্রমের পরিবর্তন এনে দিতে পারে যা চুল পাকার হার বাড়িয়ে দেয় – যেমন—

বংশগত কারণেঃ

অনেকের মধ্যে এ সমস্যাটি ঘটে। অল্প বয়সে যাদের চুল পাকে তাদের কারও কারও মধ্যে অটোইমিউন ডিজিজের কারণে মেলানোসাইট কোষ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। যার ফলে ডবি্লউএনটি প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয় ফলে চুল পাকে। তবে এর সাথে শরিরের হরমোন জনিত সমস্যাই বেশি –
ভিন্ন অসুখের কারনে ঃ- গবেষনায় চিকিৎসকদের অভিমত ঃ- যারা সোরিয়াসিস ও শ্বেতীরোগে ভোগেন তাদের চুল পাকবেই । কেন না শ্বেতীরোগ যে প্রক্রিয়ায় চর্ম কে সাদা করে ঠিক সেই প্রক্রিয়ায় চুল ও সাদা হয় । যার কারনে শ্বেতীরোগ ও চুল পাকার ঔষধ মূলত একি পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত । এ ছাড়া চুল পাকার আর যে সব কারন থাকতে পারে, যেমন, খুব বেশি জ্বর, দীর্ঘমেয়াদি কোনো অসুখ এবং মানসিক দুশ্চিন্তা ভিন্ন ধরণের চর্মরোগ ,ম্যালেরিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রভৃতি রোগ চুল পাকানোর দিকে ঠেলে দিতে পারে বা অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে­ – কঠিন ট্রমা, কয়েক প্রকারের রেডিয়েশনের শিকার হওয়া , হাইপার-থাইরয়েডিজম, ডায়াবেটিস, তবে যারা উচ্চরক্তচাপ কিংবা করোনারি হার্টডিজিজে ভুগছেন তাদের চুল পাকবে একটু বেশি ।

তরুন/ তরুণীদের বেলায়ঃ–

প্রাথমিক পর্যায়ে অসুখ জনিত কারনের মধ্যে বংশগত কারন ছাড়া ও চুল পাকার প্রধান একটি কারন , চুলের পুস্টি জনিত প্রোটিন ও ভিটামিনের অভাব কে দায়ি করা হয় এবং এসব অভাবের কারনে হলে তখন চুলের যে পরিবর্তন ধরা পড়ে তা হল চুল শুষ্ক, পাতলা, ভঙ্গুর ও বিবর্ণ হয়ে যাওয়া । এর মধ্যে চুল ধূসর হওয়ার লক্ষন মূলত রক্তহীনতায় ভোগা বা ভিটামিন বি-১২ বলে ধারনা করা হয় । আবহাওয়া ও জলবায়ুগত কারণে ও চুল একটু বেশি পাকে তবে ইহা নির্ভর করে অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে বাথ করা বা অতিরিক্ত উষ্ণ স্ট্রিম ব্যাবহার করার উপর –
শিশুদের বেলায়ঃ- শিশুদের ক্ষেত্রে ম্যারাসমাস ও কোয়াশিওরকর নামক দু’টি রোগে চুল পাকা দেখা দেয়–একটা কথা স্মরনযোগ্য, অল্প বয়সে কিংবা বেশি বয়সে চুল পাকার ব্যাপারটি কিন্তু হঠাৎ করে ঘটে না। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, প্রথমে কয়েকটি চুল পাকতে শুরু করে, পরে ধীরে ধীরে অন্যান্য চুলগুলোতে পাক ধরে।

কিছু ড্রাগসঃ– .

কিছু ঔষধ আপনার চুলএর রঙ কে সাদা করতে পারে । যআর বেশির ভাগি ক্যান্সার জাতীয় ড্রাগস ।
হাইড্রোজেন পার অক্সাইডঃ- এ ধরণের রাসায়নিক পদার্থ চুলের গোঁড়ায় তৈরি হয়ে জমে থাকলে চুলের রঙ পরিবর্তন , সাদা হবেই । ধূমপান অবশ্যই চুল পাকাকে প্রভাবিত করে তবে অতিরিক্ত স্পাইসি ফুডের কারনে চুল পাকে তা এখন ও প্রমানিত হয়নাই বা টক জাতীয় খাবারের ফলে চুল ফাকে এমন ধরণের বাস্থব বৈজ্ঞানিক প্রমান এখন ও মিলেনি । চুল পড়ে যাওয়া এবং পেকে যাওয়া দু ধরণের অসুখ সে জন্য অনেকের চুল পড়ে গেলে যে চুল সাদা হয়ে যাবে ইহা ও সত্য নয় –
কীভাবে হিসাব করবেন আপনার চুল তাড়াতাড়ি পেকে যাইতেছে ঃ- কিভাবে খুভ তাড়া তাড়ি চুল পেকে যায় তা বুঝতে হলে চুল বাড়ার স্বাভাবিক পদ্ধতি বুঝতে হবে। অর্থাৎ চুল পাকার ধরন বা চক্র ঃ- প্রথমত এনাজেনকাল অর্থাৎ চুল জন্মানোর সময় মাসে আধা ইঞ্চি হারে চুল বাড়তে থাকা যা স্বাভাবিক এবং এভাবে বাড়ার পর দ্বিতীয় স্থরে কয়েক সপ্তাহের জন্য চুল বৃদ্ধি পাওায়া একটু বিরতি নেয় । এরপর পর তৃতীয় ও শেষ ধাপ হলো টেলোজেন কাল। অর্থাৎ চুল তখন পেপিলার থেকে আলাদা হয়ে যায় । পরে যখন চক্র অনুসারে এনাজেলকাল শুরু হয়ে নতুন গজানো চুল পুরনো চুলগুলোকে সরিয়ে নতুন চুল সমূহ নির্দিষ্ট জায়গায় গজাতে থাকে , এই হচ্ছে প্রাকৃতিক নিয়ম –
চিকিৎসাঃ

যেহেতো আধুনিক চিকিৎসার ঔষধ আগামি বছর আসতেছে তাই আপাদত চুল পাকা বন্ধ করার ১০০% কার্যকরী ঔষধ এখন ও বাহির হয় নি – বয়স বাড়ার সাথে সাথে চুল পাকবেই তা আর কিছু দিন মেনে নিতে হবে, তার পর ও একটু দেরিতে চুল পাকার জন্য বেশি করে ভিটামিন বি১২ জাতীয় খাবার ও জিঙ্ক জাতীয় খাবার খাওয়া ভাল- এতে করে চুলের গোড়ায় অক্সাইডেশনের আক্রমণ একটু কম থাকবে । ইদানিং সাময়িক একটিভ কিছু ঔষধ বাজারে পাওয়া যায় যা এফ ডি এ কৃতক অনুমোদিত নয় ( !!!! ) । তার পর ও যদি একান্ত ভাবেই বছর খানেকের জন্য চুল কাল কে ধরে রাখতে চান তাহলে ক্যাপসুল vitiligo খেয়ে দেখতে পারেন, যা ৬ সপ্তাহের একটি সম্পূর্ণ ডোজ খেতে হয়, মূলত ইহা একটি হারবাল ঔষধ । যার কারনে সাদা চুল উপড়িয়ে ফেলার অভ্যাস থাকলে তা থেকে বিরত থাকাই ভাল । কেন না শেষ পর্যন্ত প্রকৃতির কাছে সবাই সব কিছুতেই হার মানতে হয় ?!!

২৫/৩৫ বয়সীদের বেলায় যদি মাথায় খুসকি থাকে তা হলে প্রথমেই দূর করার চেষ্টা করবেন । এ ছাড়া সোরিয়াসিস ও শ্বেতীরোগের সম্বাভনা থাকলে খুভ দ্রুত ভাল চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করবেন নতুবা এ সব অসুখ বাড়ার সাথে সাথে মাথার সম্পূর্ণ চুল পেকে যেতে পারে । ৫- ২৪ বছর এর ভিতরে কার ও চুল পাকতে থাকলে অবশ্যই শরিরে অন্য কোন আসুখ আছে ধরে নিতে হবে, তাই এ জন্য দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্ষ নিতে একটু ও অবহেলা না করা ভাল – ভুলে গেলে চলবেনা , চুল পাকা ও অন্য রোগের একটি উপসর্গ বা লক্ষন । এ ছাড়া কেউ কেউ স্থায়ী কালারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, তবে তা যদি বয়স ৩৫ এর উপরে হয়, তা হলে অনেক সময় ঠিক আছে, কিন্তু মনে রাখতে হবে চুলে পার্মানেন্ট কালার কয়েকবার দেওয়া হয়ে গেলে অনেক সময় কাল চুল গুলো ও খুভ তাড়া তাড়ি সাদা হয়ে যায় বিধায় যত দেরিতে পারেন এ সব কালার ব্যাবহার করবেন এবং আরেকটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন বাজারে যত ধরণের কালার থাকে না কেন, ভাল ব্রেন্ডের দেখে ব্যাবহার করলে চুলের পিএইচ এর ভারসাম্মতা একটু দেরিতে নষ্ট হয় ।

তবে এশিয়ান অঞ্চলে মেহদির ব্যাবহার একটু বেশি কিন্তু বাজার থেকে কিনা মেহদীতে খুভ বিষাক্ত কেমিক্যাল আইটেম মিশ্রিত থাকে বিধায় একটু সতর্ক থাকবেন । ( যা গত কয়দিন আগে ইন্ডিয়ান কিছু ব্র্যান্ডে দেখলাম -বা ধর্ম অনুসারে চুলে কালার দেওয়া ভাল মন্দ এ সব বিষয়ে আমার কোন অভিজ্ঞতা নেই, প্রয়োজনে ধর্মীয় অভিজ্ঞদের সাথে বুজে নিতে পারেন ) – মেয়েদের সাথে ছেলেরা ও এখন বেশ সাজগুজ করেন বা পার্লারের সু বেবস্তা ও আছে, যদি ও চিকিৎসা বিজ্ঞানে মন্দের কিছু না, তার পর ও অনুরোধ থাকবে, চুলের ব্যাপারে ভিন্ন বর্ণের যে কালার দেওয়ার প্রচলন একটু বেশি ভাবে শুরু হয়েছে, তা কিন্তু বেশ ভাল না , যদি ও কালার সমূহ ননপারমানেন্ট তার পর ও রিয়েক্টিওলাইস স্প্রিট মিশ্রিত থাকায় দেখবেন অনেক সময় ভাল চুল গুলো অনেক দুর্বল বা প্রাকৃতিক ভাবে চুলের আগের যে রঙ ছিল তা আর নাই । তবে ১০০% হারবাল যদি হয় তা হলে আমার কোন আপত্তি নেই- ১৭/২৫ বয়সের ভিতরে যদি চুল পাকে তা হলে চিকিৎসকের কাছে যাবেন এবং দেখবেন যে অসুখের কারনে চুল পাকতেছে, তা তিনি বাহির করে, সে অনুপাতে চিকিৎসা করলে আপনার চুল আবার পুনরায় আগের মতই হয়ে গেছে-
টিপস হিসাবে অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ করতে, যা যা করতে পারেন-

অন্য কোন অসুখের কারনে না হলে এবং নির্দিষ্ট বয়সের আগে চুল পাকতে শুরু করলে আমলকীকে মেহেন্দীর পাতার সঙ্গে ভাল করে বেটে চুলে লাগিয়ে এক দেড় ঘন্টা রাখার পর ভালো করে মাথা ধুয়ে নিবেন । অথবা নারকেল তেলের মধ্যে মেহেন্দী পাতার রস মিশিয়ে ভাল করে ফোটিয়ে ঠান্ডা করে এই তেল মাথায় লাগিয়ে দু ঘন্টার রাখার পর চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন৷ এতে করে অনেক সময় চুল সাদা হতে বাধা দেয়, কেননা আমলকী ও মেহদি দুটি ই চুলের পিগমেন্ট কে ধরে রাখতে সাহায্য করে- প্রয়োজনে ভিটামিন ব১২ জাতীয় শেম্পু এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল তৈলের সাথে ব্যাবহার করতে পারেন এবং জিঙ্ক ও ভিটামিন বি১২ জাতীয় খাবারের পরিমান বাড়াবেন । প্রয়োজন ছাড়া প্রসাধনী ব্যবহার কম করবেন বা ভাল ব্র্যান্ডের প্রসাধনী ব্যাবহার করবেন , বিশেষ করে মাতার জেল বা ক্রিম তার পর ও অত্যাধিক পরিমাণে ড্রাই ও রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যাবহার না করাই ভাল । খুশকি থাকলে সপ্তাহে একদিন নাইজল জাতীয় এন্টি ডেন্ড্রাফট সেম্পু ব্যাবহার করবেন । চুলে সরাসরি বেশি রোদ লাগলে চুল পাকার প্রবণতা একটু বাড়তে পারে সে জন্য রোদে থাকলে বা রোদে কাজ করলে মাথা র চুল ঢেকে রাখা ভাল ।

Related Articles

Back to top button