খাদ্য ও পুষ্টিস্বাস্থ্য টিপস

গ্রিন টির অসাধারণ আট গুণ

গ্রিন টির উৎপত্তিস্থল চিনে। বহু বছর ধরে গ্রিন টি ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গ্রিন টি বাড়তি মেদ কমায়, উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়া এর রয়েছে আরো অনেক স্বাস্থ্যকর গুণ।

গ্রিন টিকে আরো স্বাস্থ্যকর ভাবে খেতে এতে সামান্য পরিমাণ আদা মেশাতে পারেন। এসব উপকার পেতে প্রতিদিন এক কাপ গ্রিনটি পান করতে পারেন। লাইফহেক ডটওআরজি ওয়েবসাইট জানিয়েছে গ্রিন টির গুণাগুণের কথা।

১.বাড়তি মেদ কমায় –

গ্রিনটি পরিপাক ভালো রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা পলিফেনল চর্বি জারণ বা ফ্যাট অক্সিডেশন হওয়ার প্রক্রিয়াকে ভালো করে; যা  বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে।

২. উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় –

গবেষণায় বলা হয়, গ্রিন টি দেহের শিরাকে ভালো রাখে। এটা ক্লট বা রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। ক্লট হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ। নিয়মিত গ্রিন টি পান উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়।

৩. ডায়াবেটিস প্রতিরোধে –

গ্রিন টি রক্তে শর্করার পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং খাওয়ার পর রক্তে শর্করা বৃদ্ধির গতিকে ধীর করে।

৪. ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে –

গ্রিন টি রক্ত থেকে বাজে কোলেস্টেরল দূর করে এবং ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়।

৫. খাদ্যনালির ক্যান্সার প্রতিরোধ –

গ্রিন টি খাদ্যনালির ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং ক্যান্সার কোষ বৃদ্ধিকে বাধা দেয়।

৬. প্রবীণদের স্মৃতিভ্রম রোধ –

স্মৃতিভ্রম প্রবীণ বয়সের একটি প্রচলিত রোগ। গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রিন টি মস্তিস্কের কোষকে সুরক্ষা দেয় এবং কোষ ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে।

৭. গলার সংক্রমণ –

গ্রিন টির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দূর করে; যা গলার সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। এটি দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।

৮.বিষণ্ণতা –

গ্রিন টির মধ্যে থাকা উপাদান ‘থিয়ানিন’ মস্তিস্ককে শিথিল করে, বিষণ্ণতা কমাতে কাজ করে। তবে গ্রিন টি গর্ভাবস্থায় খাওয়া ঠিক নয়। কেননা এর মধ্যে থাকা থিয়ানিন আয়রন এবং ফলিক এসিডের শোষণকে কমিয়ে দেয়। তাই এই সময় গ্রিনটি পান না করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

Related Articles

Back to top button