Entertainmentদৈনিক খবর

মৃত্যুর প্রায় ৩০ বছর পর মৌসুমীকে নিয়ে মুখ খুললেন সালমান শাহের মা, দিলেন ভিন্ন এক তথ্য

বাংলা সিনেমার এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় জুটি সালমান শাহ ও মৌসুমী। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ নামক একটি সিনেমায় অভিনয়ের মধ্যদিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন তারা। সিনেমাটি ভক্তের মাঝে এতটাই জায়গা করে নিয়েছিল যে, ক্যারিয়ারে আর কখনোই পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের।

তবে প্রচলিত আছে, ছোটবেলা থেকেই একে অপরের পরিচিত ছিলেন তারা।

গত শনিবার (২৫ মার্চ) সালমানের অভিনয় জীবনের ৩০তম বার্ষিকী স্মরণ করে প্রিয়দর্শিনী বলেন, ‘আমরা তখন খুলনায় থাকতাম। ছোটবেলায় ইমন (সালমান শাহ) আর আমি নার্সারিতে একসঙ্গে খেলেছি, পড়াশোনা করেছি। আমরা দুজনেই একে অপরের বাড়িতে চলে আসতাম। এটি একটি ভাল বন্ধুত্ব ছিল. হঠাৎ তারা ঢাকায় চলে আসেন। এরপর সিনেমায় কাজ করতে এলে আবার দেখা হয়। কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের সম্পর্ক আগের রূপ নেয়। আমরা একে অপরকে নিজেদের সম্পর্কে সবকিছু বলতাম।

তবে সালমান শাহ-মসুমীর ছোটবেলার বন্ধুত্ব নিয়ে একমত নন প্রয়াত নায়কের মা নীলা চৌধুরী। তার মতে, ছেলের সঙ্গে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার আগে মৌসুমীকে তিনি চিনতেন না।

নীলা চৌধুরী এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একবার চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মৌসুমী আমাদের বাসায় আসেন। তখনই মৌসুমীকে প্রথম দেখলাম। তবে মৌসুমী বলেন, ইমান (সালমান শাহ) তার ছোটবেলার বন্ধু। তারা খুলনায় একসাথে লেখাপড়া করেছে। কখন, কিভাবে জানি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে খুলনার কোনো স্কুলে পড়েনি। আমরা তাকে অনেক দিন বাড়িতে পড়ালাম। আমার ছেলে ভালো গান গাইতো, সবাই তাকে পছন্দ করেছে। আমাদের বাড়িতে অনেক লোক আসতেন। সবাইকে চেনা সম্ভব নয়। তবে মা হিসেবে আমি ভালো করেই জানি কার সঙ্গে সালমানের বন্ধুত্ব ছিল।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান সালমান শাহ। তাকে হারানোর এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও যেন তাকে ভুলতে পারেনি কেউই।

Related Articles

Back to top button