এবার মুঠোফোনে ধারণ করা অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) এক নারী সদস্যকে ধর্ষণ করেছেন আরেক পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় গ্রেফতার পুলিশ সদস্য রুবেল মিয়াকে (৩৬) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সিএমপি।
গতকাল রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিএমপির উপ-কমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কনস্টেবল রুবেল মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে। এরপর বিভাগীয় মামলা হবে।
এর আগে গত শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারি নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে চান্দগাঁও থানার একটি মামলায় পুলিশ সদস্য রুবেল মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. অলি উল্লাহ।
জানা যায়, রুবেল মিয়া নেত্রকোনা সদর থানাধীন ছেওপুর এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে। তিনি সিএমপির আওতাধীন কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চট্টগ্রামে কর্মরত এক নারী পুলিশ সদস্যকে পরকীয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন পুলিশ কনস্টেবল রুবেল মিয়া।
নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পাশাপাশি গোপনে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন তিনি। পরে এসব ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে আবারও ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শনিবার চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ওই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রুবেল অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি প্রদানসহ মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। ওইদিনই রুবেল মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। এসময় অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণে ব্যবহৃত মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।
