দৈনিক খবর

এবার পেঁপে ও কুল চাষে আলমের ভাগ্য বদল!

প্রতি বছর ঝড় বন্যা, খরাসহ নানা প্রতিকূলতায় উৎপাদিত ফসল নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আয়-ব্যয়ের হিসাব মিলাতে না পেরে দিশাহারা হয়ে পড়েন তখনি উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে বাড়ির পাশে জমিতে নার্সারি ও মিশ্র ফল চাষাবাদ শুরু করেন তিনি। তখন থেকে শুরু হয় তার ভাগ্যের পরিবর্তন। তার এই মিশ্র ফলের বাগান অনুপ্রাণিত করেছে এলাকার সব শ্রেণিপেশার মানুষকে। দশমিনা উপজেলার রণগোপালদী ইউনিয়নে মিশ্র ফলের বাগান করে সফল হয়েছেন মোঃ শাহ আলম। তিনি এক সময় ধান ও রবিশস্য চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে বাড়ির পাশের ১২০ শতক জমিতে নার্সারি ও মিশ্র ফল চাষাবাদ শুরু করেন শাহ আলম। পাশাপাশি একটি নার্সারি তৈরি করে সকল প্রজাতির ফলের চারা উৎপাদন করছেন তিনি। । বর্তমানে তার বাগানে মাল্টা, কমলা, আঙ্গুর, ড্রাগন, পেঁপে, পেয়ারা, লেবু, বরই, আম ও আনারসসহ ১২ প্রজাতির মিশ্র ফল চাষ হচ্ছে।

শাহ আলম বলেন, এক সময় জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য ধান ও রবিশস্য চাষ করতাম। প্রতি বছর ঝড় বন্যা, খরাসহ নানা প্রতিকূলতায় উৎপাদিত ফসল নষ্ট হয়ে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হতাশ হয়ে পড়ি। তারপর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে বাড়ির পাশের ১২০ শতক জমিতে মিশ্র ফল চাষাবাদ শুরু করি। পাশাপাশি একটা নার্সারি তৈরি করে সকল প্রজাতির ফলের চারা উৎপাদন করছি। একটি বাগানে একসাথে অনেক প্রজাতির ফল চাষ করছি। এই মৌসুমে সবগুলো ফল গাছেই ভালো ফলন এসেছে। অন্যান্য ফল থেকেও আয় আসবে। চলতি মৌসুমে শুধু মাত্র বিভিন্ন জাতের বরই বিক্রি করেই প্রায় ৬ লাখ টাকা আয় হবে বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ বলেন, দশমিনায় বাণিজ্যিকভাবে ফল চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এসব বাগানে শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ফল। ফলের এ মিশ্র চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে বিদেশ থেকে ফল আমদানির নির্ভরতা কমানো সম্ভব হবে বলে আমি আশা করি। কৃষি অফিসের পরামর্শে যেসব মিশ্র ফল বাগান তৈরি করা হয়েছে সেসব বাগান থেকে ইতিমধ্যে ফল সংগ্রহ এবং বিক্রি করে সফলতা পাচ্ছেন চাষিরা।

Related Articles

Back to top button