স্বামীর সঙ্গে বাংলাদেশেই থাকতে চান ইন্দোনেশিয়ার সেই তরুণী
ভালোবাসার অটুট বন্ধনে আবদ্ধ হতে সুদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে ৭ হাজার ৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন ইন্দোনেশিয়ার এ তরুণী। দুজনের ভাষা ভিন্ন, আলাদা সংস্কৃতি। এত অমিল থাকা সত্ত্বেও ভালোবাসার টানে বিয়ে করেছেন তারা। বলছিলাম ইন্দোনেশিয়ার নিকি উল ফিয়া ও ইমরান হোসেনের কথা।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বাউফলে ইমরানের নিজ বাসায় চলে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। নিকি উল ফিয়া বাউফলে আসায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভিনদেশী বউ নিককে দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন আশপাশের লোকজন। স্বামী ইমরান স্ত্রীর কথা ভাষান্তর করে সবাইকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এ সময় ইন্দোনেশিয়ার এই তরুণী বাংলাদেশেই থাকতে চান বলে জানান।
ইমরান হোসেন বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খাজুর বাড়িয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ও বিথী আকতারের বড় ছেলে। ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি।নিকি ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা। তারা বাবা ইউলিয়ানতো ও মায়ের নাম শ্রী আনি।
নিকি উল ফিয়া জানান, বাংলাদেশে এসে তার খুবই ভালো লাগছে। এ দেশের খাবার ও এখানকার সংস্কৃতি তার খুব পছন্দ হয়েছে। তার বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছা আছে। ইমরান হোসেন বলেন, খুবই ছোট পরিসরে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। আমার নিজস্ব আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে। বাড়িতে গতকাল থেকে অনেক মানুষ আসছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ফেসবুকে নিকির সঙ্গে পরিচয় হয় ইমরানের। প্রথমে বন্ধুত্ব হলেও, পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। নিকির পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে এসে ইমরানের বাউফলের বাড়িতে যান নিকি। কিন্তু তার বয়স ২১ বছর না হওয়ায় তখন বিয়ে করতে পারেননি তারা। তাই দেশে ফিরে যান নিকি উল ফিয়া।