দৈনিক খবর

তিনি যতগুলো সিগারেট পুড়িয়েছেন ততটি লাইন লিখলে মহাকাব্য হয়ে যেতো: রাষ্ট্রপতির স্ত্রী

এবার রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের স্ত্রী রাশিদা খানম বলেছেন, দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে তার সাথে সংসার করতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে তিনি যতগুলো সিগারেট পুড়িয়েছেন প্রতিটির বিনিময়ে একটি করে লাইন লিখলে মহাকাব্য হয়ে যেতো। গতকাল বুধবার ৮ ফেব্রুয়ারি বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত রাষ্ট্রপতির আত্মজীবনীমূলক ‘আমার জীবননীতি আমার রাজনীতি’ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির প্রদত্ত ভাষণসমূহের সংকলন ‘স্বপ্ন জয়ের ইচ্ছা’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রাশিদা খানম বলেন, ‘আমার জীবননীতি আমার রাজনীতি’ বইয়ের অনেক ঘটনারই প্রত্যক্ষদর্শী আমি। বিশেষ করে কলেজ জীবন থেকে ৭১ এর সেই মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর স্মৃতি আজও আমাকে নাড়া দেয়। তিনি আরও বলেন, বইয়ের সব ঘটনা ও কাহিনি ঠিকঠাক থাকলেও প্রেম-বিয়ের ঘটনার বর্ণনায় কিছু গণ্ডগোল আছে। অর্থাৎ সুবিধা মতো কিছু বাড়িয়ে বলা, আবার কিছু ক্ষেত্রে চেপে যাওয়া, এটা মনে হয় সব পুরুষ মানুষরাই করে থাকে। এ বিষয়ে আপনারা সবটুকু বিশ্বাস করবেন না।

রাষ্ট্রপতির স্ত্রীর এমন বক্তব্য শুনে এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারসহ বঙ্গভবন দরবার হলে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে হাসির রোল পড়ে যায়। রাষ্ট্রপতির বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে আলোচনার পর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। প্রকাশনা উৎসবের পাশাপাশি সংসদ সদস্যদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

এ সময় রাষ্ট্রপতির স্ত্রী রসিকতা করে বলেন, নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানকে উপলক্ষ করে রাষ্ট্রপতি তার বইয়ের প্রকাশনা উৎসবটাও সেরে নিলেন। যাকে বলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ৬০ বছরে তার সাথে আমার অনেক অম্ল মধুর স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এসব কিছুর জন্য আমি তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মহান আল্লাহর কাছে আমি তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

তিনি বলেন, ছোট গল্পের চরিত্রের মতোই শেষ হইয়াও হইলো না শেষ। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আজকের প্রকাশনা উৎসবের বই দুটির গ্রন্থকার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে। কারণ এতদিন তার পরিচয় ছিল রাজনীতিবিদ হিসেবে, আইনবিদ, সংসদ সদস্য, ডেপুটি স্পিকার, স্পিকার, বিরোধী দলীয় উপনেতা ও সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি হিসেবে। আজ আরও একটি পরিচয় যুক্ত হলো লেখক হিসেবে। যদিও এটা অনেকটাই বেটার লেট দেন নেভার। লেখক হিসেবে আমি তার সাফল্য কামনা করি।

Related Articles

Back to top button