দৈনিক খবর

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাছে গাছে আমের মুকুল, বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য গাছে দেরিতে মুকুল আসছে। তাই আমগাছে মার্চ মাস পর্যন্ত মুকুল আসবে। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় হতাশ হবার কোনও কারণ নেই বলে জানান আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান। আমের রাজধানী চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের গাছে গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। যদিও গত বছর এই সময়ে আমের মকুল দিয়ে গাছে গাছে বড়ে যেত।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমগাছে মুকুল আসার সময়কাল ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে এখন পর্যন্ত ৭০ ভাগ গাছ মুকুলিত হয়েছে। আশা করা হচ্ছে শতভাগ গাছ মুকুলিত হবে এবং এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উৎপাদনও ভালো হবে। গতবার অফ ইয়ার হওয়ায় কিছুটা কম উৎপাদন হয়েছিল কিন্তু এবার অনইয়ার হওয়ায় ভালো উৎপাদন হবে। আরও জানা যায়, এবার অনইয়ার হওয়ায় জেলায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা যায় এক বছর আমের উৎপাদন ভালো হলে পরের বছর খারাপ হয়। কিন্তু এবারও আমের উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করছেন আমচাষিরা। গতবছর অফইয়ার হওয়ায় আমের আশানুরুপ ফলন হয়েছিল।

আমচাষী সুকুমার প্রামানিক বলেন, আমের ভালো ফলন হবার জন্য এখন বাগান পরিচর্যার কাজ পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আমের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি। তুলনামূলকভাবে এবার বড় আমগাছের চেয়ে ছোট আমগাছে বেশি মুকুল আসছে।

আরেক আম চাষি মেহেদেী হাসান বলেন, আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। পুরোদমে মুকুল আসতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। তাই এসম গাছের বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। এছাড়াও বাগানের আগাছা পরিষ্কারসহ পোকা দমনে স্প্রে করা হচ্ছে। ছোট-বড় আম বাগান পরিচর্যায় সময় ব্যয় করতে হয়।

রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল আলিম বলেন, এবার গরম আগেই চলে এসেছে। আম গাছে মুকুল আসা শুরু করেছে। কিছু কিছু গাছে মুকুল এসেছেও। তবে সেগুলো মুকুল হবে না নতুন পাতা হবে সেটা বুঝতে আরও ১৫ দিন সময় লাগবে। আবার কিছু কিছু গাছে মাথা ফাটছে। এই ফাটা জায়গা থেকেই মুকুল বা নতুন পাতা বের হবে।

Related Articles

Back to top button