দৈনিক খবর

বাংলাদেশের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের অতি উৎসাহ সৃষ্টি, নেপথ্যে রয়েছে যেসব কারণ

গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের প্রতি মার্কিন ক্ষমতাসীন বাইডেন প্রশাসনের যে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে সেটা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। তবে এই বিষয়টিকে বেশ সতর্কতার সঙ্গে দেখছে বাংলাদেশ। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কতটুকু আগ্রহ, সে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সরকার। তবে বর্তমান সময় পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়সহ বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে, এমনটি তথ্য উঠে এসেছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ভিন্ন কথা।

গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার, ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ এবং কৌশলগত কারণের মতো মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখা ওয়াশিংটনের মনোযোগ বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। অবশ্য বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এই দৃষ্টিভঙ্গিকে ঢাকা সতর্কতার সঙ্গে স্বাগত জানাচ্ছে।

চলতি মাসের মাঝামাঝি বাংলাদেশ সফরে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিনিয়র ডিরেক্টর রিয়ার অ্যাডমিরাল আইলিন লাউবাচার বর্তমানে ঢাকা সফরে রয়েছেন। নিরাপত্তা এবং স”/ন্ত্রাসবাদের মতো বিষয়গুলি তার আলোচনায় প্রধানত স্থান পেতে পারে। বাংলাদেশের কাছে অ”/স্ত্র বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ লক্ষণীয়। ঢাকায় মার্কিন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার দিকটি ওয়াশিংটন গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহিনবাগে নিখোঁজ বিএনপি নেতার বাসায় যান। এ সময় জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ফাঁ”/সি হওয়া পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বাইরে জড়ো হলে রাষ্ট্রদূত দ্রুত সেখান থেকে চলে যান। এই ঘটনার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র হাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়কে বিষয়টি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ বিষয়ে রাশিয়া মন্তব্য করেছে, মানবাধিকারকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। রাশিয়া বাংলাদেশকে তার কক্ষপথে নিয়ে আসতে পারবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের মনে হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। মস্কো এবং ওয়াশিংটন বিষয়টি নিয়ে কৌশলগত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। কৌশলগত ছাড়াও ভূ-রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সবসময়ই বাংলাদেশকে চীনের দিকে বেশি ঝুঁকে না পড়ার অনুরোধ করে আসছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবিক, শরণার্থী, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও স”/ন্ত্রাসবিরোধী, সামুদ্রিক ও অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন এ মন্তব্য করেন।

অন্যদিকে, এক বছর আগে র‌্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের ওপর নতুন কোনো হু”/মকি নেমে আসে কিনা তা দেখতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের চিঠি পাঠিয়ে বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, “প্রতিদিনই আমরা কোনো না কোনো পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এভাবে সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। সফরকালে তিনি সরকার, রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হলেও নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলো প্রাধান্য পেতে পারে। বাইডেন প্রশাসনের একটি বিশেষ দিক হল তারা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের প্রতি বেশি মনোযোগী। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে, এই জাতীয় বিষয়গুলি কম গুরুত্ব পেয়েছে। ট্রাম্প সাধারণত বাণিজ্যের ওপর জোর দিয়েছেন। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে বাইডেন প্রশাসন বরাবরই সোচ্চার। যদিও সরকার এটাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় মনে করে। ডোনাল্ড লুর সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তবে তিনি এটিকে একটি রুটিন সফর উল্লেখ করে বলেন, সব বিষয়ে আলোচনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর খু”/নি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে জোর দেবে বাংলাদেশ।

বাইডেনের প্রশংসা : বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঢাকার স্থায়ী অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করে তিনি গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অসাধারণ অগ্রগতির প্রশংসা করেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের পরিচয়পত্র গ্রহণকালে লিখিত মন্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে রাষ্ট্রদূত ইমরান মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে পরিচয়পত্র তুলে দেন। আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে জো বাইডেন বলেন, মার্কিন প্রশাসন দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে তার সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।

তিনি বলেন, “দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করতে আমার প্রশাসন আপনাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।” কারণ আমরা ভবিষ্যতের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হব। ওয়াশিংটনে আপনাকে স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার লিখিত বক্তব্যে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ‘একটি অসাধারণ গল্প’ বলে উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবিক, শরণার্থী, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও সন্ত্রাস দমন, সামুদ্রিক ও অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাইডেন বলেন, বাংলাদেশ তার বৃহত্তর কৃষি অর্থনীতিকে একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তিশালায় প্রসারিত করেছে, যা বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে একটি প্রধান অংশগ্রহণকারী হতে প্রস্তুত।

“আমি আশা করি আমাদের দেশগুলি গণতান্ত্রিক শাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, শরণার্থী এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবে।” বাংলাদেশের সাফল্যে আমরা বিনিয়োগ করছি। সকল বাংলাদেশিদের স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণ ও তাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষমতাকে সমর্থন করুন।

প্রায় ১০ লাখ মিয়ানমার থেকে আগত শরনার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “তারা এই উদ্বাস্তু ও তাদের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়কে সাহায্য করতে এবং তাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।”

তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এই মানবিক সং”কটের একটি টেকসই ও স্থায়ী সমাধান খুঁজতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগ মোকাবেলা প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, রোগটির গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় বৈশ্বিক মহা”মারী মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। “আমরা সামনের মাস এবং বছরগুলিতে আমাদের ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্বকে প্রসারিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,” তিনি বলেন।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের পর প্রথমবারের মতো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ব্যক্তিগতভাবে হোয়াইট হাউসে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমরানসহ বিভিন্ন দেশের ১০ জন রাষ্ট্রদূত তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন। হোয়াইট হাউস থেকে ফেরার পর রাষ্ট্রদূত ইমরান বাংলাদেশ দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে: ২০২১ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং বাহিনীর সাত সাবেক-বর্তমান অফিসারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এমন প্রেক্ষাপটে সরকার বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। ‘একতরফা নিষেধাজ্ঞা’র মতো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের কাজের অগ্রাধিকারের তালিকা, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তার মধ্যে অন্যতম। ২০২২ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠান। চিঠিটি সাতটি অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে।

পররাষ্ট্র সচিব চিঠি পাঠানোর একদিন পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন নতুন বছরের প্রথম দিনে বিদেশে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।

৩১ ডিসেম্বর বিদেশে বাংলাদেশের মিশন প্রধানদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে মাসুদ বিন মোমেন সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে বলেন।

২০২৩ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য ষষ্ঠ অ্যাকশন-সম্পর্কিত নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, ‘যে কোনো কূটনৈতিক মিশনের মৌলিক কাজ হল সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রেখে দৈনন্দিন কাজ করা। তবে বর্তমান বৈশ্বিক ও দেশীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরও কাজের চাহিদা রয়েছে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে দেওয়া নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, “আমাদের একটি বিশেষ আইন প্রয়োগকারী বাহিনী এবং তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা সরকার ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে সরকারি সংস্থা-ব্যক্তির ওপর একই প্রেক্ষাপটে বা অন্য কারণে আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এ কারণে নিষেধাজ্ঞা রোধে প্রস্তুত থাকার জন্য যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আপনাকে আপডেট তথ্য এবং নির্দেশনা দেবে।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিষয়ে যে গুরুত্ব প্রদান করছেন তার পেছনে বিরোধী দলের কোনো হাত রয়েছে কি-না সে বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে দেখছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহের বিষয়টি কোনোভাবেই হালকাভাবে দেখছে না সরকার। তবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে কিনা সে বিষয়ে কূটনৈতিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে

Related Articles

Back to top button