দৈনিক খবর

‘বল সুন্দরী’ কুল চাষ, ফিরেছে সবুজের ভাগ্য

আট মাসের মধ্যেই সবকটি গাছেই কুল ধরে। বরই চাষে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এখন প্রতি সপ্তাহে অনলাইনে এবং অফলাইনে বড়ই বিক্রি করেন সাত থেকে আট হাজার টাকার। ইউটিউব দেখে মেহেরপুর জেলা থেকে অনলাইনের মাধ্যমে ৬০টি চারা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আনেন। এরমধ্যে ১০টি চারা মারা যায় এবং বাকি ৫০টি চারা নিয়ে তার বাড়ির পাশে আধা বিঘা জমিতে রোপণ করেন।

অস্ট্রেলিয়ান ‘বল সুন্দরী’ কুল চাষ করে ভাগ্যবদল হয়েছে কৃষক মাহমুদুল হাসান সবুজের। কৃষক মাহমুদুল হাসান সবুজ গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের বাসিন্দা।

সরেজমিনে কুল বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সবুজের বাগানের প্রতিটি গাছে ধরেছে কুল। ফলের ভারে গাছসহ ডালগুলো নিচের দিকে ঝুলে পড়েছে। বাঁশের খুঁটি দিয়ে আগলে রাখা হয়েছে প্রতিটি গাছ। পাখি ও চোরের হাত থেকে কুল গলো রক্ষায় পুরো বাগান চারপাশে জাল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। বাগান পাহারা দেওয়ার জন্য বাগানের এক পাশে উঁচু করে মাচা করে রেখেছেন। বড়ই চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছেন সবুজ।

চাষি সবুজ বলেন, ব্যক্তিগত উদ্যোগে কুল চাষের জন্য আধা বিঘা জমিতে অস্ট্রেলিয়ান বল সুন্দরী আপেল বরই চাষ শুরু করি। আমি ভাবিনি এতো ফলন হবে। ইনশাআল্লাহ আগামীতে কষ্ট করে হলেও আরো বড় পরিসরে এ কুল করবো। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে আমার উপকার হবে।

তিনি আরো বলেন, আশা করছি বরইগুলো বিক্রি করলে আমার আর কোনো অভাব থাকবে না। এই উপজেলায় অস্ট্রেলিয়ান বল সুন্দরী আপেল কুল বরই এই প্রথম চাষ হয়েছে। অনলাইনে এবং অফলাইনে ১৫০-২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। এবার দেড় থেকে দুই লাখ টাকার বরই বিক্রি করতে পারবো।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমাইয়া সুলতানা বন্যা বলেন, শ্রীপুরে মাত্র ২ হেক্টর জমিতে বল সুন্দরী কুল চাষ করা হয়েছে। আমরা চাষি সবুজকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।

Related Articles

Back to top button