ক্ষমতা থাকলে আমি এই দুইজনকে আজীবন ব্যান করতাম: রমিজ রাজা
একের পর এক বোমা ফাটিয়ে চলেছেন পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান রামিজ রাজা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে রামিজকে সরিয়ে এখন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন নাজাম শেঠি এবং পিসিবিকে রদবদলের পর জাতীয় ফের দলে ফেরার পথে সাবেক ফাস্ট-বোলার মোহাম্মদ আমির?
২০২০ সালে অবসর নেওয়া মোহাম্মদ আমিরকে পিসিবির নতুন চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি ন্যাশনাল হাই-পারফরম্যান্স সেন্টারে অনুশীলন করার অনুমতি দিয়েছেন। এর থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছে। মূলত এই সেন্টারে তারাই অনুশীলন করতে পারেন, যারা জাতীয় দলের অংশ বা গত কয়েক বছরে পাকিস্তানের হয়ে ম্যাচ খেলেছেন।
আমিরের এই ফিরে আসার খবরে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সাবেক পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজা। তার মতে, ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত এমন একজন খেলোয়াড়কে দলে রাখা মোটেও ঠিক হবে না। সাম টিভিতে একটি সাক্ষাৎকারে রমিজ রাজা স্পষ্ট বলে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটে ফিক্সিং অনেক পুরনো বিষয়। আমির এটা ভালো করেই জানতেন, তবুও তিনি এমন কাজ করলেন। যদি দলের জয়ের চেষ্টা করেন ৯ জন এবং পরাজিত করার জন্য ২ জন খেলোয়াড় জড়িত থাকে, তবে এই জাতীয় খেলোয়াড়দের দলে জায়গা দেওয়া উচিত?’
তিনি বড় বোমা ফাটিয়ে এর সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘বিচারপতি কাইয়ুমের রিপোর্টে উল্লেখ করা সমস্ত খেলোয়াড়দের উপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতাম।’ রিপোর্টে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিসের নাম নিয়ে রমিজ রাজা বলেন, ক্ষমতা থাকলে আমি এই দুইজনকে আজীবন ব্যান করতাম।
আমির প্রসঙ্গে পিসিবি প্রাক্তন এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘ দলে শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পিসিবি একজন নিয়োগকর্তা, যারা খেলোয়াড়দের টাকা দেয়। তার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিলে তাকে বরদাস্ত করা যায় না।’
তৎকালীন প্রধান কোচ মিসবাহ-উল-হক এবং বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসের বিরুদ্ধে বৈষম্যের অভিযোগ এনে আমির ২০২০ সালে তার অবসরের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে দেন।
তিনি পিসিবি চেয়ারম্যান রমিজ রাজাকেও কটাক্ষ করেন। এরপর ফাস্ট বোলার বেশ কয়েক বার ফিরে আসার চেষ্টা করলেও, রামিজের কঠোর মনোভাবের কারণে তা করতে পারেননি। রামিজ সরতেই এবার ফের দলের ফেরার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন আমির।