দৈনিক খবর

বিষয়টা খুবই নেক্কারজনক,বোঝা গেলো প্রধানমন্ত্রীর হাতেই সব,এবার মুখ খুললেন সিনিয়র নেতা

বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করা হয়েছে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি। আর এই নির্বাচিত করা রাষ্ট্রপতি আওয়ামীলীগের মনোনীত ব্যক্তি। আর এ নিয়ে এখন সবখানে শুরু হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা। এ দিকে এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন বিএনপির নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। আওয়ামী লীগের সংসদীয় বৈঠকে ‘নতুন সভাপতি’ মনোনয়ন প্রক্রিয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, কে রাষ্ট্রপতি বা না তা খুব একটা পার্থক্য করে না। রাষ্ট্রপতির কাজ ও কর্তব্য ভিন্ন, তিনি এড়াতে পারেন না এবং তাকে (প্রধানমন্ত্রী) সব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে হয়। এবার অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা ঘটেছে যে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে বানান করেছেন তা বোঝা গেল।

তিনি আরও বলেন, একটি রেজুলেশন দিয়ে বলা হয়েছে যে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যাকে মনে করবেন তাকে দেবেন। ন্যূনতম যে একটি সাজসজ্জা আছে, একটি নির্বাচন, একটি ভোট, আর কি … সবকিছু পদদলিত হয়. এ থেকে বোঝা যায় মানুষ কতটা স্বেচ্ছাচারী হতে পারে। নির্বাচনে জিততে তিনি কিছু করবেন। এখানে তার একটি প্রমাণ।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের সঙ্গে গণতন্ত্র ফোরামের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

নবনির্বাচিত সভাপতির বিষয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, আমাদের রি-অ্যাকশন আমার দল দেবে। আমি এই মিটিং (লিয়াজোন কমিটি) থেকে রি-অ্যাকশন দিতে পারব না। আমাদের দলের সবাই আলোচনা করবে এবং সিদ্ধান্তের পর আপনাকে জানাবে। আমি এটা নিয়ে কথা বলতে পারি না। কিন্তু আমি এতটুকু বলতে পারি যে, একজন তন্ত্রের দেশে অনেক কিছু সম্ভব অসম্ভব, আবার অনেক অসাধ্য জিনিসও সম্ভব হতে পারে-সেই খবর একটি উদাহরণ।

বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা বৈঠক করেন। এক ঘণ্টার বৈঠকে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি এবং আন্দোলনের দাবি নিয়ে যৌথ ঘোষণার খসড়া প্রণয়ন নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী আনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাম কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির পক্ষে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

প্রসঙ্গত, এ দিকে নবনির্বাচতি রাষ্ট্রপতি আর কিছু দিনের মধ্যেই বুঝে নেবেন তার দায়িত্ব। আর সেই সাথে শেষ হয়ে যাবে আব্দুল হামিদের যুগ। অনেকেই নতুন রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে করেছেন নানা ধরে ইতিবাচক মন্তব্য আবার অনেকের রয়েছে নানা ধরনের মতভেদ।

Related Articles

Back to top button