এবার দিনাজপুরের হিলিতে সোহাগ হোসেন (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যুর পর দাফনের জন্য গোসল করানো হচ্ছিল। তবে এ সময় তার মরদেহ নড়ে ওঠায় মরদেহ নিয়ে হাসপাতালে যান স্বজনরা। গতকাল রবিবার ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে হিলির দক্ষিণ বাসুদেবপুরের চুড়িপট্টি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, নাটোরে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সোহাগ নামের ওই যুবক মারা যান। সেখান থেকে সকালে মরদেহ হিলিতে নিয়ে আসা হয়। কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফনের জন্য কবর প্রস্তুত করা হয়। পরে মরদেহ গোসল করানোর জন্য নেওয়া হলে মৃতদেহ নড়ে উঠে। এ সময় স্থানীয়রা তার শ্বাস প্রশ্বাস চলমান দেখতে পায়। আর তা দেখেই দ্রুত মরদেহ হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
চেকআপ করে দ্রুত সেখান থেকে তাকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দুই হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ হোসেন বলেন, সকালে ওই যুবকের মরদেহ বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে দোকানে আসি। এরপর শুনছি সে নাকি জীবিত আছে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি আমার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হয়েছে।
এদিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামিম সরদার জানান, আমার ফুফাত ভাই সোহাগের মৃত্যুর পর দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় সে জীবিত আছে বলে কয়েকজন বলতে থাকে। এ জন্য আমরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেই। সেখান থেকে জয়পুরহাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে জয়পুরহাট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আমরা মৃতদেহ ফেরত নিয়ে বাড়িতে এসে দাফন করেছি।
এ বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুন নাহার জানান, সকালে সোহাগ হোসেন নামে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় আমরা তার প্রেশার ও পালস চেক করে পাইনি। তার ইসিজি করানো হয়েছিল। রিপোর্টে সবলাইন ফ্লাট ছিল, শুধুমাত্র একটা লাইনে হালকা রিদম পাওয়া গিয়েছিল। এ জন্য তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হয়নি। সে ক্ষেত্রে তাকে আমরা জয়পুরহাট জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেছি।
