নাসিরের দলে না থাকার কারণ জানালো বিসিবি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর হবে ২০২৪ সালে। এখনো বাকি বছরখানিকের বেশি সময়। আর আসন্ন এই আসরকে ঘিরে এখন থেকেই পরিকল্পনা সাজাতে ব্যস্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এদিকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে হারের পর তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলে রয়েছে একাধিক চমক।
বিপিএলে পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা সুযোগ পেলেও জায়গা হয়নি অলরাউন্ডার নাসির হোসেনের। মিস্টার ফিনিশার খ্যাত ক্রিকেটারকে দলে না নেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। ঘোষিত এই দলে একের পর এক চমক রেখেছেন নির্বাচকরা। টি-টোয়েন্টি দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন তৌহিদ হৃদয়, রেজাউর রহমান রাজা ও তানভীর ইসলাম। এছাড়া সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলের পারফর্মের উপর নতুনদের সাথে দলে এসেছেন রনি তালুকদার ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী। শুধু জায়গা পাননি ঢাকার হয়ে ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করা নাসির হোসেনের। বিপিএলের পারফর্মারদের গুরুত্ব দিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
দল নির্বাচনের ব্যাখ্যা দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের পর এই প্রথম আমরা টি-টোয়েন্টি খেলব। একটা বিষয় মাথায় ছিল যে এবারের বিপিএলে অনেকজন খেলোয়াড় ভালো পারফর্ম করেছে। এটা মাথায় রেখেই আমরা আগাচ্ছি। আমরা আরেকটা বিষয়ও হাতে নিয়েছি যে আগামী এক বছরের জন্য কিছু খেলোয়াড়কে নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছি। সেটা ২২-২৪ জনের হতে পারে। এদের নিয়ে আগামী এক বছরে একটা পরিকল্পনার মধ্যে এগোবো। বর্তমানে ফর্মে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়েই এই সিরিজটা শুরু করছি আমরা।
নাসির হোসেনকে দলে না নেওয়ার ব্যাখ্যায় ফিটনেসের উদাহরণ টেনে নান্নু বলেন, অনেক কিছু ব্যাপারেই এবার আলোচনা হয়েছে। টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে আলাপ করেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফিটনেস খুব গুরুত্বপূর্ণ, যে যেখানেই পারফর্ম করুক। আমরা যেকোনো একটা ফরম্যাটে ওই খেলোয়াড়কে যদি দরকার হয় অবশ্যই তাকে তৈরি করা হবে।