দৈনিক খবর

এবার মিয়ানমারকে ভারত-চীন-রাশিয়ার চাপ না দেওয়ার কারন জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমার থেকে আগত বিপুলসংখ্যক শরণার্থীরা বাংলাদেশে অবস্থান করলেও এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক কোন সংস্থা কিংবা বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো মিয়ানমারের ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করছে না। অনেকটা নিরব থাকতে দেখা যাচ্ছে দেশগুলোকে। এর পেছনে অবশ্যই কূটনৈতিক কারণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ভারতকেও এই বিষয়ে নিরব থাকতে দেখা যাচ্ছে। এবার এই নিরাবতার কারন জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

প্রভাবশালী দেশগুলো বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক স্বার্থে মিয়ানমার থেকে আগত শরনার্থীদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারছে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন মোমেন। শুধু সরকারই নয়, দেশগুলোর বেসরকারি খাতেরও প্রচুর বিনিয়োগ রয়েছে মিয়ানমারে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র সফরে বিভিন্ন পর্যায়ে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রী বলেন, ঢাকা চায় জাতিসংঘ চাপ বাড়াতে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করুক।

মিয়ানমারের জান্তা সরকার ক্ষমতায় থাকার দুই বছর পার করেছে। ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া শক্তিশালী দেশগুলোকে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে শোনা যায়নি।

জান্তা সরকার ক্ষমতায় আসার পরপারই চীন দেশটিতে ৩৮০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ অনুমোদন দেয়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়া মিয়ানমারকে অ”/স্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। এই দুই দেশই অ”/স্ত্র সরবরাহ বন্ধে জাতিসংঘের প্রস্তাবে নীরব।

মিয়ানমারে ১০০টির বেশি জাপানি কোম্পানির বিনিয়োগ রয়েছে। আসিয়ানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ সিঙ্গাপুরে ২৪০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ রয়েছে। আর প্রতিবেশী দেশে ভারতের বিনিয়োগ ছাড়াও রয়েছে ১৬০০ কিলোমিটার যৌথ সীমান্ত সমস্যা এবং ১৯৫১ সালের জোট চুক্তি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বাস করেন যে, এই বিদেশী বিনিয়োগ ও বাণিজ্য মিয়ানমার থেকে আগত শরনার্থীদের সংকট সমাধানে অন্যতম বাধা।

ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘে বিষয়টি আরও জোরালোভাবে তুলে ধরবে, যাতে রাষ্ট্রগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করা যায়। তবে পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের রাখাইনে মিয়ানমারের এই বিশেষ গোষ্ঠির হ”/ত্যাযজ্ঞকে গণহ”/ত্যার স্বীকৃতি দিয়েছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জড়িত দলগুলোকে সমর্থন দিতে গত ডিসেম্বরে একটি আইনও পাস করেছে দেশটি।

তবে মিয়ানমার থেকে আগত লক্ষ লক্ষ শরণার্থীদের অন্য দেশে স্থানান্তর করা যায় কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। তবে বিষয়টি গুরুত্ব না পাওয়ার কারনে সেই আশায়ও নিরাশা দেখছে বাংলাদেশ সরকার। এদিকে মিয়ানমার সরকারের থেকেও কোনো রকম কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না যার কারণে অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এসকল শরনার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়টি।

Related Articles

Back to top button