দৈনিক খবর

বিধ্বস্ত সেই উড়োজাহাজের ৭০ নিথরদেহ উদ্ধার হলেও খোঁজ মিলছে না বাকি দুই আরোহীর,সামনে এসেছে নতুন তথ্য

সম্প্রতি আবারো সারা বয়সের আলোচনায় এসেছে নেপাল। দেশটিতে আবারো ঘটেছে বিমান দুর্ঘটনা। এবার একটি বড় ধরণের বিমান দুর্ঘটনার স্মুখীন হয়েছে এই দেশটি।এ দিকে ৭২ জন যাত্রী নিয়ে নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া বিমান থেকে ৭০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, উদ্ধারকারীরা বাকি দুজনের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন।

পোখারা এলাকায় এই দুর্ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত ৭০টি নিথরদেহ উদ্ধার করা হয়, এরপর উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে ফের তৎপরতা শুরু হয়।

রয়টার্স বলছে, উদ্ধার অভিযানে ড্রোন ও দড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গতি অর্জন করতে হয়। নিখোঁজদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে।

উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া পোখরার পুলিশ অফিসার অজয় কেসি বলেন, “কুয়াশা উদ্ধার অভিযানে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। আমরা দড়ি দিয়ে শ্রমিক পাঠিয়েছি।

তিনি বলেন, সোমবার দুটি নিথরদেহ উদ্ধারে মৃতের সংখ্যা ৭০ ছুঁয়েছে।

এই পুলিশ আধিকারিক বলেন, “দুজনের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে যাকে এখনও পাওয়া যায়নি। আ’গু’নে’র কারণে নিথরদেহ পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযান চলবে।

আগের দিন দুর্ঘটনাস্থল থেকে বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) ও ডাটা রেকর্ডার উদ্ধারের কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।

কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের কর্মকর্তা টেকনাথ সিতৌলা বলেছেন যে দুটি রেকর্ডারই ভাল অবস্থায় রয়েছে এবং বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট এবং ক্রুদের মধ্যে কথোপকথন শোনার জন্য তদন্তকারীদের কাছে পাঠানো হবে।

ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এটিআর ৭২, যেটি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে সকাল ১০:৩৩ টায় পোখরা শহরের উদ্দেশ্যে ৬৮ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু নিয়ে ছেড়েছিল, ২০ মিনিটের মধ্যে পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং পুরানো বিমানবন্দরের মধ্যবর্তী এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন নেপালের, পাঁচজন ভারতের, চারজন রাশিয়ার এবং দুজন কোরিয়ার। এ ছাড়া ওই বিমানে আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক ছিলেন।

কাস্কি জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পোখরার গান্ডকি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অধিকাংশ নিথরদেহ এতটাই পু”ড়ে গেছে যে তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কৃষ্ণ প্রসাদ ভান্ডারি বলেন, আমরা দুর্ঘটনাস্থল থেকে কাউকে জীবিত উদ্ধার করতে পারিনি।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিমান বিধ্বস্তের কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নেপালে বিমান দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। দূরবর্তী রানওয়ে এবং আবহাওয়া পরিস্থিতির আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে এ দেশে প্রায়ই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়।

গত বছরের মে মাসে নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় ২২ জন প্রাণ হারায়। গত ৩০ বছরে এদেশে প্রায় ৩০টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে।

২০১৮ সালে এমনি একটি ঘটনা ঘটেছিলো এই নেপালেই। আর সেই ঘটনার শিকার হয়েছিল বাংলাদেশের ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স। সে সময়েও অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

Related Articles

Back to top button