দৈনিক খবর

এশিয়া কাপ চূড়ান্ত করা হলো পাকিস্তানেই, ভারত নিয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্ত

ক্রিকেট খেলায় ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে নানা ধরনের বিপত্তি দেখা যায়। তবে সেটা ম্যাচ নিয়ে নয়। খেলার স্থান নিয়ে, কারন ভারত পাকিস্তানে গিয়ে ক্রিকেট খেলতে নারাজ। যেখানে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এদিকে কিছু দিন পর এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে। তবে পাকিস্তানে কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে চায় না ভারত। এ কারণে আসন্ন এশিয়া কাপ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। ভারত চায় এই টুর্নামেন্টটি সংযুক্ত আরব আমিরাত বা শ্রীলঙ্কার মতো নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হোক।

বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ক্রিকেট পাকিস্তানের খবরে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তান এশিয়া কাপ আয়োজনের ব্যাপারে অনড়। প্রয়োজনে ভারতের ম্যাচ আমিরাতে খেললেও দেশটির কোনো আপত্তি থাকবে না।

গত বছর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি জয় শাহ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে, ভেন্যু পরিবর্তন না করলে ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যাবে না। এর জবাবে পাকিস্তানের বোর্ডের তৎকালীন প্রধান রমিজ রাজা বলেছিলেন, ভারত পাকিস্তানে না এসে এশিয়া কাপ না খেললে আমরা ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলব না।

দুই সপ্তাহ আগে, পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে এশিয়া কাপ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে বাহরাইনে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের একটি বৈঠক হবে।

শনিবার বৈঠক শুরু হয়। এতে ভারতীয় বোর্ডের প্রধান স্পষ্ট করেছেন যে, ভারত সরকার খেলোয়াড়দের পাকিস্তানে যেতে রাজি করাতে পারছে না। নিরাপত্তার কারণে তারা পাকিস্তানে খেলোয়াড় পাঠাতে পারছে না। এরপর পিসিবি প্রধান বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়রা পাকিস্তানে খেলতে আসছেন। কারো কোন সমস্যা নেই। ভারতীয় খেলোয়াড়রাও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পাবেন। কিন্তু ভারতীয় বোর্ড প্রধান তাতেও রাজি হননি।

ওই বৈঠকে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে আমিরাত ও শ্রীলংকা নিয়ে আলোচনা হয়। এশিয়া কাপের আয়োজক হবে পাকিস্তান, এমন কথাও উঠে এসেছে। তবে ভারতের ম্যাচগুলো হবে আমিরাতে। পাকিস্তান ফাইনালে উঠতে পারলে ফাইনাল হবে আমিরাতে।

নিরাপত্তার কারণে অতীতে পাকিস্তানে ক্রিকেট ম্যাচ খেলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। অতীতে, ভারত সরকারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের জন্য দলকে পাকিস্তান সফরে নিরুৎসাহিত করেছে। যাইহোক, পাকিস্তানে খেলা বা না খেলার সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত ভারত সরকারের সাথে পরামর্শ করে বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (BCCI) নিয়ে থাকে।

Related Articles

Back to top button