দৈনিক খবর

এই মুহূর্তে নিজের কাঁধে থাকা সব থেকে বড় দায়িত্ব কি জানালেন নতুন রাষ্ট্রপতি

সম্প্রতি বাংলাদেশে নির্বাচিত করা হয়েছে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতিকে। আর এই ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে এবার দায়িত্ব পালন করতে আসছেন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দেশের ২২তম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিভিন্ন মহল এমনকি দেশের কয়েকটি ব্যাংক থেকেও তাকে সংবর্ধিত করা হয়েছে। আমরাও তাকে অভিনন্দন জানাই। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি এমন কিছু মন্তব্য করেছেন যা দেশের মানুষ পত্রিকা পড়েই জানে।

রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি যে মন্তব্য করেছিলেন তা আপাতত সবার মনে আশা জাগিয়েছে। আমি পত্রিকার সূত্রের ভিত্তিতে ওইসব মন্তব্যের বিরোধীতা করছি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাকে অর্পিত দায়িত্ব পালনে তিনি দ্বিধা করবেন না। এমন মন্তব্যের জন্য তাকে আবারো অভিনন্দন। নির্বাচনের আর মাত্র ১০ মাস বাকি, “এই মুহূর্তে আমার সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে সারা বিশ্বে স্বীকৃত নির্দলীয়, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার দিকে মনোনিবেশ করা।”

রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত সাহাবুদ্দিন আইনের জগৎ থেকে এসেছেন। সারাজীবন আইনের তোয়াক্কা করেছেন। দেশের সংবিধান ও অন্যান্য আইন সম্পর্কে তার যথেষ্ট ব্যুৎপত্তি আছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা আইনের ময়দানে বেশ আনাড়ি, শুধু সাংবাদিক হিসেবে আমাদের পেশার স্বার্থে সংবিধান সম্পর্কে যতটা সম্ভব দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে এবং সাধারণভাবে অনেকের কাছে এখন একটি বড় প্রশ্ন উঠেছে। তিনি (নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি) কীভাবে নিরপেক্ষ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে পারেন! এই মহৎ উদ্দেশ্য কীভাবে পূরণ করবেন, শক্তির উৎস কী? তিনি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জাতির কাছে অঙ্গীকার করেছেন। সত্যি কথা বলতে কি, দেশের সর্বোচ্চ আইন ও সংবিধান কি তাকে এ ধরনের দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা দিয়েছে? দেশের সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, এই সংবিধানের ৫৬ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি তার ক্ষেত্র ছাড়া অন্যান্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। ৯৫ ধারার (১) ধারা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ: তাই রাষ্ট্রপতির উত্থান ও বসার পাশাপাশি দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ একটি অপরিহার্য শর্ত। তা না হলে তা মেনে নিতে হতে পারে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে। সংসদে ক্ষমতাসীন দলের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে তার নির্বাচনও খুবই সহজ। তাকে নির্বাচন করা যতটা সহজ ছিল, বিদায় নেওয়াটা ততটা সহজ হবে। যাক, প্রশ্ন হলো এত সীমিত পদে থেকেও তিনি কীভাবে এবং কী প্রক্রিয়ায় জাতির কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করবেন! নির্বাচনে তার কী করার আছে? সংবিধান নির্বাচন কমিশনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দিয়েছে। অতীতে অবশ্য তারা খুব কমই সংবিধানের সেই চেতনাকে সমুন্নত রাখতে পেরেছে। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি কি তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাজ তদারকি করতে পারেন? আর নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর।

সে কি কিছু করতে পারে? সম্ভবত না কিন্তু সেখানে সরকারের ভূমিকা রাখার যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। মনে রাখতে হবে সংসদীয় ব্যবস্থায় সরকার প্রধান প্রধানমন্ত্রী হন, রাষ্ট্রপতি নন। তার পদটি সম্পূর্ণরূপে অলঙ্কৃত। আমাদের সংবিধানে ক্ষমতার ভারসাম্যের কোনো বিধান নেই। তাই রাষ্ট্রপতির আশাবাদ এবং বাস্তবতার মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে।

আমরা সাম্প্রতিক অতীতের দিকে তাকাই, মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রায় ১০ বছর ধরে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের হিসেব অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কোনো সংশয় ছিল না। কারণ মহামান্য রাষ্ট্রপতিও একজন আইনপ্রণেতা এবং সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতার পরিধির কথা মাথায় রেখে তিনি কখনোই তার ক্ষমতার সীমারেখা অতিক্রম করেননি। রাষ্ট্রপতি থাকাকালে দেশে বেশ কয়েকটি সংসদ নির্বাচন এবং অনেক স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেসব নির্বাচন নিয়ে তিনি কখনো মাথা ঘামাননি। জাতীয় নির্বাচনের পর যখন একটি নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়, তখন তিনি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান। তার দায়িত্ব এখানেই সীমাবদ্ধ। এর বাইরে তিনি কখনো পা রাখেননি। একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন কারণ রাষ্ট্রপতির আর কোনো কাজ নেই। আসলে আমাদের সকল রাষ্ট্রপতিই এত দায়িত্ব পালন করেছেন। কখনো বাড়তি কিছু বলেনি বা করেননি বা কোনো অতিরিক্ত প্রতিশ্রুতি দেননি।

আমরা জানি, অতীতে দেশের কোনো রাষ্ট্রপতির আমলে যে নির্বাচন হয়েছে, তার কোনোটিতেই জনগণ সন্তুষ্ট ছিল না। তবে এর জন্য রাষ্ট্রপতিকে কেউ দায়ী করেননি। বরং সব মহলই তাদের দায়িত্ব পালনে যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেছে, যা ছিল খুবই স্বাভাবিক। বর্তমানে ক্ষমতাসীনরা এমন দাম্ভিকতায় ভুগছে যে, আমরাই দেশের যোগ্য শাসক এবং আমরাই আমাদের একমাত্র বিকল্প। দেশে আজ রাজনৈতিক পরিবেশের মূল কারণ ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অস্বাভাবিক মানসিকতা। গত ১৫ বছর ধরে যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের একটি ভুল হচ্ছে তাদের অযোগ্যতার কারণে দেশ নজিরবিহীন সংকটের মুখে পড়েছে, ফলে চরম জনদুর্ভোগ হচ্ছে। কিন্তু তারা বলছেন, অসীম যোগ্যতা ও দক্ষতায় দেশ পরিচালনা করে জনগণকে শান্তিপূর্ণ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন দিতে পেরেছেন। সে কারণে এবং জনগণের স্বার্থে তাদের হাতে ক্ষমতা রাখা উচিত। নইলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।

অন্যদিকে দেশে এখন গণতন্ত্র নিয়ে নানা কেলেঙ্কারি চলছে। গণতন্ত্রের বিভিন্ন ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হচ্ছে। এসব থেকে প্রতীয়মান হয় এই জনপদের গণতন্ত্র এখন সংকটের মুখে। গণতন্ত্রের প্রশ্নে যে ব্যাখ্যাই দেওয়া হোক না কেন, গণতন্ত্র কিন্তু একটি যমজ, অর্থাৎ এটি অভিন্ন। কেউ বলতে পারে, ভালো ভোট গণতন্ত্রের সমার্থক হতে পারে। এটি সত্য নয়, তবে গণতন্ত্রে ভাল ভোটদান শুধুমাত্র একটি অনুষঙ্গ বা অনুশীলন। এর সাথে গণতন্ত্রের অনেক সম্পর্ক রয়েছে। এখন খুব একটা প্রাসঙ্গিক না হওয়ায় এটা নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না।

ক্ষমতাসীন দলের অন্যতম প্রধান নেতা ওবায়দুল কাদের সম্প্রতি বলেছেন, আমাদের গণতন্ত্র আমাদের মতো হবে। এই কথায় অনেক ফাঁকি আছে, সেদিকে যাবেন না। এটা সর্বজনীনভাবে বলা হয় যে গণতন্ত্র ‘আমাদের মতো’ বা ‘আপনার মতো’। গণতন্ত্র সর্বত্র এবং সকলের জন্য এক এবং এখানে কোন নতুন ব্যাখ্যা গ্রহণ করা যায় না। সামনের গণতন্ত্রের মৌলিক উপাদান হিসেবে আগামী ৮-১০ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে অনেকে মনে করেন। এর আগে এসব ব্যাখ্যামূলক বক্তব্য পরিষ্কার করে দেয়, বক্তব্যে ক্ষমতাসীন দলের মন-মানসিকতা উন্মোচিত হচ্ছে যা আসলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

আমাদের গ্রামে এখনও একটা প্রথা শোনা যায়। যদি কোনো ব্যক্তি বা পরিবার ক্রমাগতভাবে সামাজিক আচরণের নিয়ম লঙ্ঘন করে, তবে তাদের নির্জন কারাগারে রাখা হয়। তাদের সঙ্গে লেনদেন বন্ধ রয়েছে। এটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা পরিবারের জন্য খুবই দুঃখজনক হয়ে ওঠে। আমাদের দেশে এখন যে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে, তা ক্ষমতাসীন দলের সমালোচকদের কথা থেকেই বোঝা যায়। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের এক কথিত শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য গণতন্ত্র সম্মেলনে কাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বা না দেওয়া নিয়ে হাসিনা সরকারের কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন, এদেশে গণতন্ত্র ঠিক আছে কিনা সেটা সরকারের বিষয়। তবে এখানে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায়, প্রশ্ন তোলা যায়। প্রথমত, গণতন্ত্রের প্রশ্নে বাংলাদেশ যদি বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে না থাকে! তাহলে আমাদের একা যেতে হবে। একা হেঁটে অনেক বিপদ, আমাদের দেশে এমন হচ্ছে। তাহলে কি বাংলাদেশ ‘দেও আর নাও’ নীতি থেকে বেরিয়ে যাবে? যারা এটা একা যেতে চান, এটা দেখা যাচ্ছে, মানুষ সম্পর্কে চিন্তা কখনও. যেমন, তাদের সবাইকে কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র হিসাবে উল্লেখ করা হয়। আরেকটি বিষয় খুবই স্পর্শকাতর, আমাদের গণতন্ত্রের ‘শ্রী’ কী! এটা কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তির ‘সার্টিফিকেট’ দ্বারা নির্ধারণ করা যায় না। যারা এরকম ভাবেন তাদের শুধু ভুল বলা যাবে না, বুঝতে হবে তাদের অন্তরে অন্য কিছু লুকিয়ে আছে। শুধুমাত্র ৫৬,০০০ বর্গমাইলের বাসিন্দারাই দেশের গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত বক্তব্য দেবেন, অন্য কেউ নয়। যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় বিশ্ব গণতন্ত্র সম্মেলনের কথা এখন একটু বলা দরকার। প্রথম বিশ্ব গণতন্ত্র সম্মেলন ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সম্মেলনে ১১০ টি দেশের ৭০০ টিরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ওই সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এবার দ্বিতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনে বিশ্বের ১১১টি দেশ আমন্ত্রণ পেলেও বাংলাদেশ তা পায়নি। ক্ষমতাসীন দলের মহাসচিব এই সম্মেলন নিয়ে গণ্ডগোল করছেন এমনটা ভাবার যথেষ্ট কারণ কি নেই? আসলে আমরা ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে পড়েছি কারণ আমাদের গণতন্ত্র অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সংস্কার না করে বরং তাদের মনোভাবই স্পষ্ট হয়ে উঠছে, আমরা অন্ধকার পথের যাত্রী হয়ে থাকতে চাই। সম্মেলনে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা, কর্তৃত্ববাদ প্রতিরোধ করা, দুর্নীতি চিহ্নিত করা ও প্রতিরোধ করা এবং মানবাধিকারের প্রচার। এসব প্রশ্নে বাংলাদেশ গত ১৫ বছর ধরে পিছিয়ে যাচ্ছে। এর কোনো প্রতিকারের জন্য এখনো কোনো উদ্যোগ নেই। একটা জিনিস মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এই অঞ্চলের দেশগুলো মালদ্বীপ পর্যন্ত আমন্ত্রণ পায়, আর আমরা পাই না। লজ্জায় মুখ লুকাবে কোথায়?

কখনও না চেয়ে দেরি করা ভাল। আমরা আশা করছি. ইতিহাস সবার কাছে আয়নার মতো। একদিন যখন আমরা কেউই এই শহরে থাকব না, আজ আমরা যে সময়গুলো কাটাচ্ছি, এই সময়ে আমরা যা করছি তার প্রতিটি মুহূর্ত এই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ দিনের মানুষরা সেলুলয়েডের পর্দায় আয়না থেকে দেখতে পাবে। ইতিহাস আমরা কেউ জানি না সেদিন কত প্রশংসা বা নিন্দা পাব। তবে সবার অমর আত্মা থাকবে সেদিন। সেই আত্মা যেন তখন অনুতাপে ম্লান না হয়, তা এখন সবারই বিবেচনা করা উচিত।

প্রসঙ্গত, এ দিকে বর্তমান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী এপ্রিলে। আর এই কারণেই তড়িঘড়ি করে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়েছে দেশে। একটা সময়ে রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন অনেকেই। তবে শেষ মুহূর্তে এসে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেখায় চমক। আর এই চমকেই নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।

Related Articles

Back to top button