দৈনিক খবর

পরীক্ষা না দিয়েও পেলেনে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি

পটুয়াখালীর ২ উপজেলায় পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করেও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে দুই শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার দুপুরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করলে সেখানে তাদের নাম আসে। তারা হলেন, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার সুতাবাড়িয়া সারকেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুস্মিতা। এবং পটুয়াখালীর বাউফলের সূর্যমনি ইউনিয়নের ৪১ নম্বর উত্তর পশ্চিম রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিয়া রহমান।

এ ব্যাপারে সুতাবাড়িয়া সারকেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুব হোসেন জানান, আমার বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় তিনজন অংশ গ্রহণ করার কথা ছিলো। সুতাবাড়িয়া গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডের শিবু পালের মেয়ে সুস্মিতা বৃত্তি পরীক্ষার সময় তার শরীরে গুটি বসন্ত উঠায় সে আদৌ পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে পারেনি। পরীক্ষার ফলাফল শিটে সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। তার রোল নং ৫২১।

সুস্মিতা জানান, আমি অসুস্থতার কারণে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এ ফলাফল সঠিক নয়।

এ ব্যাপারে গলাচিপা উপজেলার শিক্ষা অফিসার মো. মীর রেজাউল ইসলাম জানান, আপনার মাধ্যমে এ বিষয়টি জেনেছি তবে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল জনান, গলাচিপায় বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল অপ্রত্যাশিত। তবে যে মেয়েটি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ না করে ফলাফল বেরুচ্ছে তা ক্ষতিয়ে দেখছি।

অন্যদিকে পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও বৃত্তি পেয়েছে পটুয়াখালীর বাউফলের সূর্যমনি ইউনিয়নের ৪১ নম্বর উত্তর পশ্চিম রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিয়া রহমান।

সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার বলেন, খলিলুর রহমানের মেয়ে সাজিয়া রহমান বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেনি। কীভাবে বৃত্তি পরীক্ষা ফলাফলের তালিকায় ওই শিক্ষার্থীর নাম এসেছে বুঝতে পারছি না।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, অংশগ্রহণ না করে কীভাবে বৃত্তি পেল সে বিষয়টি আমরা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করেছি।

Related Articles

Back to top button