ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং গ্রেফতারের প্রতিবাদ করছে অনেকেই এবং সেই সাথে এই ঘটনাটি নিয়ে নানা রকম মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা ফাতেমা আবেদীন নাজলা, নিচে সেটি তুলে ধরা হল-
যতদূর জানি শামস একটা ছবি পাঠাইছিলো স্বাধীনতার, রিপোর্টও পাঠিয়েছিলো। সেখানে আরেক রিপোর্টারের ক্যাপশন অ্যাড করেছিলো ডেস্ক।
পরে ‘ফেসবুক সাংবাদিক পুলিশ উকিল মন্ত্রীপাড়ায়’ এই নিয়া আলাপ উঠলে ছবিটা সরিয়ে একটা সংশোধনী দেওয়া হয় মূল নিউজে।
আমাদের বিখ্যাত ফেসবুক সাংবাদিকরা সেই নিউজ না পইড়া ৪০৪ লিংক, সরিয়ে নেওয়া নিউজ ও স্ক্রিনশট নিয়া গবেষণা কইরা জানাইলেন, এই ছেলে জাকির হোসেন না। তার নাম সবুজ মিয়া। গবেষণা বাহবা পাইলো।
বিনিময় শামসকে তুলে নিয়ে যাওয়া হইলো। মামলা হইলো- বাই দ্য ওয়ে মামলা হইছে নাকি? কারা তুলে নিয়ে গেছে এগুলো কিচ্ছু প্রশাসন জানে না।
এই ফেসবুকের যুগে সবাই সাংবাদিক।
বেলা ১১ টা পর্যন্ত ফেসবুক সাংবাদিকদের সবার প্রশ্ন ছিলো- প্রথম আলো কেন নিউজ ছাপে নাই। আপনাদের তথ্যের সোর্স কি৷ হাসতে হাসতে সকালটাই বিনোদনময় হয়া গেছে।
ভালোকথা শামস যে ব্যাপক গোলাবারুদসহ আটক খাইছে। সেগুলো বিস্ফোরিত হয়ে গেলো কি?
অবশ্য কেউই জানে না কে গ্রেফতার করেছে কে তুলে নিয়ে গেছে। এইটা একটা ভালোদিক। ফেসবুক গোয়েন্দারা ব্যবস্থা নেবেন আশা রাখি। আমিন।
ইয়া আল্লাহ তুমি ফেসবুক সাংবাদিক গবেষক বিপ্লবীদের কবুল করে নিও। আমিন