দৈনিক খবর

ভূমিকম্পে টেকনাফের ভবনে ফাটল, আতঙ্কে বাসিন্দারা

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পর্যটন শহর কক্সবাজার। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টা ৩৯ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এ সময় টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে সরকারি কার্যালয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে ফেসবুকে টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কেন্দ্রের কার্যালয়ে ফাটলের বেশকিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি বাড়ি ঘরে ফাটলের সংবাদ পাওয়া গেছে।

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, ‘শনিবার বিকেলে ভূ-কম্পন অনুভূত হওয়ায় তাড়াতাড়ি অফিস থেকে বের হয়ে যাই। পরে এসে দেখি অফিসের কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে।’

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সেরভ টেকনাফ স্টেশনের কর্মকর্তা মুকুল কুমার নাথ জানান, ‘শনিবার বিকেলে টেকনাফে বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্পের ঝাঁকুনির সংবাদ এসেছে। আমাদের কাছে ক্ষ;য়ক্ষ;তির সংবাদ এখনও আসেনি।’

আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, শনিবার বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে ৪ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ২০ দশমিক ৯০ অক্ষাংশ এবং ৯২ দশমিক ৩৩ দ্রাঘিমাংশে। এর উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৭৭ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।

স্থানীয় বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমার জীবনে এত বড় ভূমিকম্প কখনও দেখিনি। কিন্তু এখানে অনেকে অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করছে। ফলে ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি বেশি রয়েছে এখানে। এরকম করা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। আজ হয়তো কারো প্রাণ যায়নি অন্যদিন যেতেও তো পারে।

অন্যদিকে ভূমিকম্পের ফলে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দারা আতঙ্কে ছিলেন বলে জানিয়েছেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জুবায়ের। তিনি বলেন, ‘বিকেলে হঠাৎ ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে এখানকার লোকজন অনেকে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’

Related Articles

Back to top button