অভিনেতা ম ম মোর্শেদ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন
জনপ্রিয় টিভি অভিনেতা ম ম মোর্শেদ মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছেন। গত ৩১ জানুয়ারি অভিনেতার দুই ছেলে ও ছেলের বন্ধু স্কুল থেকে ফেরার পথে হামলার শিকার হয়। এতে দুই ছেলেরই মাথা ফেটে যাওয়াতে ১১ টি সেলাই করতে হয়েছে। বর্তমানে পরিবার নিয়ে এখনও ট্রমার মধ্যে রয়েছে তিনি। জানা গেছে, শ্রেণির বেঞ্চে বসা নিয়ে রাজধানীর তুরাগে অভিনেতা ম ম মোর্শেদের দুই ছেলের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দিয়াবাড়ী মেট্রোরেলের প্রধান ডিপো চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে হামলার পর আশপাশের লোকজন এসে আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। উত্তরার শিন শিন জাপান হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুরুতর আঘাত বিবেচনায় আহতদের টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ম ম পৃথ্বী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে তুরাগ থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অপর ৮ থেকে ১০ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পৃথ্বী বলেন, আমার ছোট ভাই রাজ্য মাইলস্টোন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চে বসা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে তারই সহপাঠী সিয়াম ও জিসুমের কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা কলেজের বাইরে মারধর করবে বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি আমাকে ফোন করে জানিয়ে তাকে নিয়ে আসার অনুরোধ করলে দুপুর ১টার দিকে আমি ও আমার বন্ধু আহনাফ, আশিক, জাওয়াদ মেট্রোরেলের প্রধান ডিপো চত্বরে যাই।’ পৃথ্বী আরও বলেন, পরে দুপুর ২টার দিকে ছোট ভাই রাজ্য ক্লাস শেষে বের হয়ে ডিপো চত্বরে এলে সিয়াম, জিসুমসহ তাদের সঙ্গে আরও কয়েকজন সহপাঠী রায়দুর, আব্বার, আপন, আলতামাশ, হাশেম আমার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করে। তখন আমি তাদের বুঝানোর চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে সৈকত রায়হান, ইমন, সাগর, রুফাইদসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন আমাদের ওপর বাঁশ, রড, ইট, পাথর দিয়ে হামলা চালায়। তাদের হামলায় আমি ও আমার ছোট ভাই রাজ্য এবং বন্ধু আহনাফ, আশিক, জাওয়াদ আহত হই। এ সময় হামলাকারীরা একটি মোটরসাইকেলও ভাংচুর করে।
এদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এমরান হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মামলার আসামিরা পলাতক। আমরা ঘটনার পর থেকে তাদেরকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছি। আমরা লোক লাগিয়েছি, হয়তো খুব শিগগির তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারব।