এবার বিদেশি সিনেমা আমদানি করা নিয়ে মুখ খুললেন ডিপজল
দেশে ভারতীয় সিনেমা চালানো নিয়ে অনেকদিন ধরেই কেউ কেউ প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। মালিকদের অনেকে হিন্দি সিনেমা আমদানি ও প্রদর্শনে বেশি আগ্রহী। তাদের যুক্তি হচ্ছে, প্রেক্ষাগৃহ বাঁচাতে হলে হিন্দি ও অন্য সিনেমা আমদানি করা জরুরি। তা না হলে, প্রেক্ষাগৃহ বাঁচানো যাবে না।
অন্যদিকে, চলচ্চিত্রের শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা ও প্রযোজকদের অনেকে এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন। তারা বলছেন, এতে আমাদের চলচ্চিত্র পিছিয়ে যাবে, ধ্বংস হয়ে যাবে। শিল্পী, প্রযোজক ও নির্মাতারা পথে বসে যাবেন। এছাড়া, আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে। সরকারও বিদেশি সিনেমা আমদানির ক্ষেত্রে নীতিমালা করে দিয়েছে। বিদেশি সিনেমা আমদানি নিয়ে ইতোমধ্যে কলকাতার কিছু সিনেমা আমদানি করে মুক্তিও দেয়া হয়। তবে সেসব সিনেমা মোটেই চলেনি। তারপরও কেউ কেউ ভারতীয় সিনেমা আমদানির কথা বলছেন।
ডিপজল বলেন, দর্শক আমাদের দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির সিনেমাই দেখতে চায়। ইতোমধ্যে ‘হাওয়া’ ও ‘পরান’সহ আরও বেশ কিছু সিনেমা দিয়ে আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। সিনেমাগুলো কোটি কোটি টাকা ব্যাবসা করেছে। যে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা ৪০-৫০ এ নেমে এসেছিল, এখন তা বেড়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ হয়েছে।
হিন্দি সিনেমা চালাতে হলে শিল্পী সমিতিকে দশ পার্সেন্ট দিতে হবে বলে সাধারণ সম্পাদক (মামলা চলমান) নিপুণ যে কথা বলেছেন, তা নিয়ে ডিপজল বলেন, এটা কোনো যুক্তির কথা নয়। যেখানে আমরা চাচ্ছি না, বিদেশি সিনেমা আমদানি করা যাবে না, সেখানে এ ধরনের কথা সমর্থনযোগ্য নয়। তাছাড়া, এটা শিল্পী সমিতির বিষয় নয়। আমরা শিল্পীরা সবসময়ই চলচ্চিত্রের স্বার্থে বিদেশি সিনেমা আমদানির বিরোধিতা করে আসছি। আমাদের অবস্থান পরিস্কার। এটা নিয়ে অন্যকোনো অবস্থান আমাদের নেই। এ ধরনের বক্তব্য কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাছাড়া, সমিতির মিটিংয়ে এমন কোনো কথা হয়েছে কিনা, তা আমার জানা নাই।