দৈনিক খবর

কানাডায় কুমার বিশ্বজিতের ছেলের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন, নিহত ৩ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর শেষকৃত্য ১৯-২০ ফেব্রুয়ারি

সম্প্রতি গত সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) স্থানী সময় রাত প্রায় সাড়ে ১১ টার দিকে কানাডার টরোন্টোতে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশী শিক্ষার্থী নিহত-সহ দেশটির এক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি বাংলার অত্যন্ত জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ এর ছেলে নিবিড় কুমার দে। তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো শঙ্কা কাটিনি বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।

এদিকে এ দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈ এর প্রার্থনা কানাডার স্থানীয় সময় ১৯ ফেব্রুয়ারি রোববার এবং শাহরিয়ার মাহির খান ও আরিয়ান আলম দীপ্ত’র নামাজে জানাজা ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।

নিহত শিক্ষার্থী এঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈ এর প্রার্থনা এবং ভিউয়িংয়ের (শেষ দর্শন) আয়োজন করা হয়েছে ইটোবিকোকের ১২১ সিটি ভিউ ড্রাইভে অবস্থিত লোটাস ফিউনারেল এন্ড ক্রিমেশন সেন্টারে । সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা।
নিহত শাহরিয়ার মাহির খান ও আরিয়ান আলম দীপ্তের নামাজে জানাজা স্কারবোরো নর্থের ১নং স্ট্যামফোর্ড স্কয়ারে অবস্থিত মসজিদ আল-আবেদিনে অনুষ্ঠিত হবে। সময়ই সারমর্ম।

মরদেহ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। নিউ দেশ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর বলেন,‘লোটাস ফিউনারেল এবং ক্রিমেশন সেন্টার’ নামে একটি ফিউনারেল সার্ভিস কোম্পানি অ্যাঞ্জেলার মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।

তিনি বলেন যে লোটাস ফিউনারেলের অপারেটিং ফিউনারেল ডিরেক্টর হারমিন্দর হ্যান্সি তাকে বলেছিলেন যে তারা আশা করছেন আগামী সপ্তাহে অ্যাঞ্জেলার মরদেহ এয়ারলিফ্ট করতে সক্ষম হবেন। সোমবার কানাডায় সরকারি ছুটি থাকায় এবং কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাকি থাকায় তারা এই মুহূর্তে ফ্লাইটের সঠিক তারিখ জানাতে পারছেন না। তবে বুকিং দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করলেও তিনি তা প্রকাশ করতে রাজি হননি।

অ্যাঞ্জেলার পরিবারের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ বা ২৫ ফেব্রুয়ারি তুর্কি এয়ারওয়েজে অ্যাঞ্জেলার মরদেহ বাংলাদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি অ্যাঞ্জেলার বাবা ঢাকায় ফেরার চেষ্টা করছিলেন।

শাহরিয়ার খান এবং আরিয়ান দীপ্তারের মৃতদেহ অন্টারিওর করোনার অফিস থেকে ইকো ক্রিমেশন অ্যান্ড বারিয়াল সার্ভিসেস ইনক। এই দুই ব্যক্তির মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবে এই সংস্থা।

ইকো ক্রিমেশন অ্যান্ড বারিয়াল সার্ভিসেস এর ফিউনারেল ডিরেক্টর নাথান রমাগনলি জানিয়েছেন, পরিবারের অনুমতি না থাকায় কখন এবং কীভাবে তাদের মৃতদেহ ফিরিয়ে আনা হবে সে সম্পর্কে তিনি কোনও তথ্য দিতে পারেননি।

অন্যদিকে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবির কুমার দে-র শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও শঙ্কা কাটেনি। টরন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। ক্যামেরার মাধ্যমে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন চিকিৎসকরা। কুমার বিশ্বজিৎ দম্পতি বর্তমানে টরন্টোতে অবস্থান করছেন।

এদিকে ছেলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে সবার কাছে দোয়াও চেয়েছেন বাংলার অন্যতম এই সঙ্গীতশিল্পী। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো বলেও জানিয়েছন তিনি।

Related Articles

Back to top button