খেলাধুলাদৈনিক খবর

দ্বিতীয় ম্যাচেও হারল মুস্তাফিজকে বসিয়ে রাখা দিল্লি

নিজেদের প্রথম ম্যাচে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে একাদশে ছিলেন না কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। সেই ম্যাচে হেরেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশি পেসারকে খেলানোর প্রয়োজন মনে করেনি দিল্লি। এ ম্যাচেও জুটেছে পরাজয়। ৬ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ চাহড়ে গুজরাট টাইটান্স। গতকাল মঙ্গলবার রাতে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করা দিল্লি ৮ উইকেটে ১৬২ রান করে।

জবাবে গুজরাট ১৮.১ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ২৯ রানের জুটি গড়ার পর আউট হন দিল্লির ব্যাটার পৃথ্বী শ। ৭ রান করে মোহাম্মাদ শামির তালুবন্দি হন। সুবিধা করতে পারেননি মিচেল মার্শ। শামির বলে ৪ রান করেই হন বোল্ড। পাওয়ার প্লের মাঝে ২ উইকেট হারালেও দিল্লি স্কোরবোর্ডে ৫২ রান তুলতে সক্ষম হয়।

এদিকে ওয়ার্নার ৩২ বলে ৭ চারে ৩৭ রান করে আলঝারি জোসেফের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। ঠিক পরের বলেই জোসেফের ১৪৬ কিলোমিটার গতিতে ছোড়া বাউন্সারে পরাস্ত হন রাইলি রুশো। পয়েন্টে থাকা রাহুল তেওয়াতিয়ার হাতে ধরা পড়ে রানের খাতা না খুলেই ফেরেন প্রোটিয়া ব্যাটার। দিল্লি ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে।

পঞ্চম উইকেটে সরফরাজ খান এবং অভিষেক পোরেল গড়েন ৩৪ রানের জুটি। অভিষেক ১১ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান করে রশিদ খানের বলে বোল্ড হলে জুটির অবসান হয়। ধীর গতিতে ব্যাট করে ৩৪ বলে ৩০ রান করা সরফরাজের উইকেটও তুলে নেন রশিদ। অক্ষর প্যাটেলের ২২ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৪ রানের ইনিংসে ভর করে দিল্লির স্কোর ১৬০ অতিক্রম করে। রশিদ ৩১ রানের বিনিময়ে নেন ৩ উইকেট। শামি ৩ উইকেট পেলেও চার ওভারে খরচ করেন ৪১ রান। জোসেফের শিকার ২ উইকেট।

জবাবে গুজরাট টাইটান্স পাওয়ার প্লেতে ৫৪ রান তুলতে সক্ষম হলেও খুইয়ে বসে ৩ উইকেট। উড়ন্ত সূচনা পাওয়া ঋদ্ধিমান সাহা ৭ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ১৪ রান করে এনরিচ নর্টজের বলে বোল্ড হন। শুভমান গিলও করেন ১৪ রান, নর্টজে তার স্টাম্প ছত্রখান করে দেন। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া মাত্র ৫ রান করে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় খলিল আহমেদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

সাই সুদর্শন ও ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় বিজয় শঙ্কর চতুর্থ উইকেট জুটিতে গড়েন ৫৩ রান। শঙ্কর ২৯ রান করে মার্শের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে ভাঙে জুটি। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা ডেভিড মিলার ক্রিজে এসেই তোলেন ঝড়। মুকেশ কুমারের করা ১৬তম ওভারে হাঁকান দুই ছক্কা, সঙ্গে একটি চার। আর তাতেই গুজরাটের জয়ের সমীকরণ হয়ে যায় সহজ, ২৪ বলে ২৬ রান।

নর্টজে করা ১৭তম ওভারে ফিফটি তুলে নেন একপ্রান্ত আগলে রাখা সুদর্শন। হাঁকান একটি চার ও ছক্কা। জয়ের জন্য গুজরাটের তখন প্রয়োজন ১৮ বলে ১২ রান। এরপর ১১ বল হাতে রেখেই গুজরাট জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। সুদর্শন ৪৮ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৬৪ ও মিলার ১৬ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। সাউথ আফ্রিকান পেসার নর্টজে ২টি, মার্শ ও খলিল নেন একটি করে উইকেট।

Related Articles

Back to top button