বিয়ের কথা বলে ভাগ্নে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে, এখন বিয়ে না করলে আত্মহনন ছাড়া উপায় নেই: মামী

দীর্ঘদিন প্রেমের পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মামা’র সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে ‘শা’রী’রি’ক সম্প’র্ক স্থাপ’ন’ করেন এক যুবক। তবে পরবর্তীতে বিয়ের জন্য চাপ দিলে রীতিমতো তা এড়িয়ে চলতে শুরু করেন তিনি। আর এভাবে বেশকিছু দিন যাওয়ার পর ওই নারীকে বিয়ে করবে না বলে জানিলে, কোনো উপায় না পেয়ে শেষমেষ ভাগ্নের বাড়ির সামনেই অনশনে বসেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

সোমবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকার সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

সে একই এলাকার হারুন উর রশিদের ছেলে। উত্তরা ইপিজেডের চীনা দোভাষী হিসেবে কাজ করে।

এদিকে এ ঘটনার পর থেকে সাদ্দাম হোসেন তার মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সাদ্দামের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন ৩৫ বছর বয়সী ওই নারী। ওই নারীকে দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। ওই নারী জানান, সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে ৬ মাস ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রথম দিকে, আমরা কেবল মোবাইল ফোনে কথা বলতাম, কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে আমি আমার স্বামীকে তালাক দিয়েছিলাম কারণ তিনি আবার বিয়ে করেছিলেন। সাদ্দাম বিচারের সময় সহযোগিতা করেন। এতে দুজনের মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়। একপর্যায়ে সে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘শা’রী’রি’ক সম্পর্কে লিপ্ত হয়।

তিনি আরও বলেন, সাদ্দাম আমাকে বিয়ে না করলে ‘আ”’ত্ম”হত্যা” ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

সাদ্দাম হোসেনের বাবা হারুন উর রশিদ জানান, ওই নারীর দুটি মেয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নবম শ্রেণির ছাত্রী। চরিত্রগত সমস্যার কারণে আমার স্ত্রী তার ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।

তিনি আরও বলেন, সাদ্দামকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা চুরি করেন ওই নারী। আর এখন পরিবারকে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করেছে। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

এদিকে এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এ বিষয়ে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।