দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অন্তরালে পরপুরুষের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক গৃহবধূ। তবে সম্প্রতি এ বিষয়টি দেখে ফেলায় পরকীয়া প্রেমিকের সহায়তায় স্বামীর চোখ’ ‘উ’প’ড়ে’ ফেলে ‘হ”ত্যা” চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে গৃহবধূ সাজেদা বেগমের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, এরই মধ্যে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১ মার্চ) পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কালুগাড়ি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তি হলেন কালুগাড়ি গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৪৫)। তিনি পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান। তাদের দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর সাজেদা বেগমের চরিত্রের অবনতি সবার নজরে আসে। তিনি বিভিন্ন সময়ে একাধিক পুরুষের সঙ্গে ধরাও পড়েছেন। এলাকায় একাধিকবার আদালতে শুনানি হয়েছে।
ভুক্তভোগীর ভাতিজা শাহ আলম জানান, সোমবার গভীর রাতে আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন চাচা গুরুতর আহ’ত। পরে মঙ্গলবার সকালে চাচাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি অভিযোগ করেন যে সেখানে অন্য একজন লোক ছিল। সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার পর প্রেমিকের সহায়তায় চাচাকে ‘হ”ত্যা’র চে’ষ্টার পর তাদের হাতেনা’তে ধরা হয়।
অভিযুক্ত সাজেদা দাবি করেন, সংসার খরচসহ এনজিওর কিস্তি পরিশোধ না করায় তিনি নুরুলকে আঘাত করেন।
এদিকে এ বিষয়ে ওসি মো. মাসুদ রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, প’রকী’য়া সম্প’র্কের জেরে না হলেও ইতিমধ্যেই ওই নারী স্বীকার করেছেন- দাম্পত্য কল’হের সূত্র ধরে স্বা’মীকে ‘হ”ত্যা’ চেষ্টা করেন।
