প্রভাসীর স্ত্রী নিপাকে সালিশের মধ্যে ৮২টি বেত্রাঘাত করেছে বিচারকসহ আরো অনেকে, জানা গেল কারন
পরকীয়ায় ধরা পড়ার পর এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ৮২টি বেত্রাঘাত করা হয়। যে বিচার মেনে নিতে না পেরে নিপা (ছন্দনাম) তার বিরুদ্ধে অন্যায় হয়েছে বলে থানায় অভিযোগ করে। যে ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে সমালোচানর ঝড় বয়ছে।
অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে এক গৃহবধূকে বেত্রাঘাতের অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে হবিগঞ্জের চুনারিঘাট উপজেলার বড়জুম গ্রামে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার আলীনগর গ্রামের হাফেজ মো. নুরুল ইসলাম (৩৫), বড়জুম গ্রামের বায়েজিদ হোসেন (৭০), আতিক উল্লা (৫০) ও মোঃ তৈয়ব আলী (৬৮)।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, শুক্রবার (৭ এপ্রিল) রাতে আটক চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাশেদুল হক।
পুলিশ জানায়, বড়জুম গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতে বড়জুম গ্রামের মো. বাচ্চু মিয়ার বাড়ির উঠোনে ওই নারীকে বেত্রাঘাত করা হয়। পরে ওই নারী বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে।
মামলায়, মহিলা অভিযোগ করেছেন যে তিনি পরকীয়া সম্পর্কিত একটি অপরাধ করেছেন এবং সালিসি শাস্তি হিসাবে ৮২টি বেত্রাঘাত এবং ৮০টি বেত্রাঘাত করা হয়।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল হক বলেন, বেত্রাঘাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে কিনা এবং কতগুলো বেত্রাঘাত করা হয়েছে তা জানা যায়নি। আটক চারজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
একজন নারীকে প্রকাশে এভাবে হয়রানি ও তার উপর অমানবিক আচারন কোন সুষ্ঠ সমাজ করতে পারে না। এই অন্যায়ের জন্য বিচারকদের কঠর স্বাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগি।