খেলাধুলাদৈনিক খবর

আইপিএলে পাকিস্তানের পর আগামী মৌসুম থেকে নিলামের দরজা বন্ধ হচ্ছে বাংলাদেশের

শেষ পর্যন্ত আইপিএলের এবারের মৌসুম থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বেশ কিছুদিন ধরেই আইপিএলে সাকিব আল হাসানের খেলা নিয়ে বিসিবি এবং সাকিবের মধ্যে চলছিল শীতল যুদ্ধ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বারবারই বলেছেন জাতীয় দলের খেলা বাদ দিয়ে বিদেশী ফ্রাঞ্চাইজি লীগে খেলতে পারবে না কোন ক্রিকেটার।

সাকিবকে আইপিএলে খেলতে হলে অবশ্যই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ খেলেই যেতে হবে। সাকিব ও সেটি এক প্রকার মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি ভালোভাবে নেয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্স। যে কারণে সাকিব এবং লিটনকে এবারের মৌসুম থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে অনুরোধ করেছিল কলকাতা। এই প্রস্তাবকে অনেকেই এক প্রকার কলকাতার ক্ষোভ হিসাবে দেখছে।

সাকিবের সাথে কলকাতার সম্পর্ক অনেক পুরনো দিনের। যে কারণে তাদের প্রস্তাবের সাড়া দিয়েছেন সাকিব। সাকিবের জায়গায় নতুন কোন বিদেশী ক্রিকেটারকে দলে নিতে যাচ্ছে কলকাতা যে পুরো মৌসুম কলকাতার সাথে থাকবে। তবে সাকিব আইপিএলে খেলতে না যাওয়ায় ক্ষতি হলো কার? আইপিএলের সাকিব এবং মোস্তাফিজ ছাড়া নিয়মিত সুযোগ পান না আর কোন ক্রিকেটার। গত বছর তাসকিন আহমেদ সুযোগ পেলেও তাকেও ছাড়পত্র দেয়নি বিসিবি।

আইপিএলে সুযোগ পেলেও প্রতিবছর তাদের ছাড়পত্র নিয়ে অনেক নাটকীয়তা দেখা যায় দেশের ক্রিকেটে। যে কারণে একপ্রকার বিরক্তই হয়েছে আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি গুলি। কিছুদিন আগে ভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যম জানিয়ে ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের নিলামে অংশগ্রহণ নিয়ে কঠোর হতে পারে আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজি গুলি। হয়তো সাকিব এবং লিটনকে নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার মাধ্যমেই একপ্রকার শীতলভাবেই শুরু হল সেই নিষেধাজ্ঞা।

এই প্রস্তাবের মাধ্যমে একটি প্রশ্ন এখনো থেকে যাচ্ছে, তাহলে কি সত্যি সত্যি আগামী মৌসুম থেকে আইপিএলের নিলামে বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের দরজা বন্ধ হতে যাচ্ছে। আর সেটি যদি হয় তাহলে আগামী মৌসুম থেকে আইপিএলে আর দেখা যাবে না বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। তাইতো বলা যায় পাকিস্তানের পর এক প্রকার শীতলভাবে নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশী ক্রিকেটাররা। আইপিএলের খেলার যোগ্যতা থাকলেও হয়তো বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ক্রিকেটারদের আইপিএলের দরজা বন্ধ হতে যাচ্ছে।

Related Articles

Back to top button