দৈনিক খবর

মাথা গোজার ঠাঁই পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ৪ ধাপে পাংশা পৌর সভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৫৫০টি ঘর নির্মান করা হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে। এর মধ্যে ৫৪০ টি ঘরের কাজ সম্পূন্য হয়েছে মাত্র ১০টি ঘর নির্মানাধীন রয়েছে। এরই মধ্যে ৩টি ধাপে সুবিধাভূগী গৃহ হীনদের মধ্যে তাদের গৃহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, অনেকেই ঘর পেয়ে আগামীর স্বপ্ন বুনছেন।

বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় আশ্রায়নে বসবাস করা বেশ কয়েকজন বাসিন্দা সেখানেই কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলেছেন। পাংশা উপজেলার শরিসা ইউনিয়নের বৃত্তিডাঙ্গা বাজার এলাকার পাশে গড়ে তোলা আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা তানিয়া,

সে তার প্রতিবন্ধী ১ কণ্যা শিশু নিয়ে থাকেন সেখানে, নিজের ঘরের এক পাশে তিনি কর্ম সংস্থানের জন্য গড়ে তুলেছেন ছোট একটি বিউটি পার্লার। সেখানে বসেই সে এলাকার মেয়েদের কাজ করেন এবং সংসার চলছে তার এ দিয়েই।

তানিয়া বলেন আগে ভাড়া বাড়ীতে থাকতাম, একটা দোকান নিয়ে পার্লার করেছিলাম সেটাও ভাড়া নিয়ে আমার পক্ষে ঘরের ভাড়া ও দোকানের ভাড়া দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না, আমি এখানে বেশ ভালই আছি ঘর বা দোকান ভাড়া দেওয়ার চাপ নেই, এখানে যা আয় হয় আমার মুটামুটি চলে যায়।

আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানায় আমার মত অসহায় মানুষকে একটি ঘর উপহার দেওয়ায়। একই আশ্রায়নে একজন বসবাসের পাশাপাশি একটি সেলুন ঘর বানিয়ে ব্যবসা করছেন তিনিও লাভবান হচ্ছেন বলে জানান।

মামনীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছিলেন একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না সেই আলোকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সার্বিক তত্বাবধায়নে দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের বাস্তবায়নে পাংশা উপজেলায় গৃহহীনদের গৃহ নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে পাংশা পৌর শহরের সত্যজিৎপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, চন্দনা নদীর ত্বীরে সারি বন্ধ ভাবে নির্মান করা হয়েছে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর গুলো, দুর থেকে দৃষ্টিনন্দন একটি জায়গা মনে হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন কাজের মানও বেশ ভাল হয়েছে, আশ্রায়নে বসবাস করা মানুষের সুবিধার্থে চলছে নলকুপ বসানোর কাজ।

২ শতাংশ জমির উপর একটি ২ রুমের সেমি পাকা ঘর, আছে আধুনিক সুবিধাসমূহ, কারেন্ট রয়েছে, সড়কের পাশে এ প্রকল্প গুলো গড়ে তোলায় বিভিন্ন ভাবে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে ভূমিহীন মানুষ গুলোর।

পাংশা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হেকমত আলী বলেন- আমরা শতভাগ চেষ্ঠা করছি আশ্রয়ন প্রকল্পের সেমি পাকা ঘরগুলো সুন্দর ভাবে করতে, ইতি মধ্যে ৩টি ধাপে গৃহ নির্মান করে সুবিধাভূগীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে, আগামীতে বাকি গৃহগুলো আনুষ্ঠানিক ভাবে বিতরণ করা হবে। এ কাজে সার্বক্ষনিক দেখভাল করছেন পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আলী স্যার তিনি বিভিন্ন সময় সাইড ভিজিট করে থাকেন।

এ সকল বিষয়ে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ আলী বলেন- সকলের আন্তরিক সহযোগীতার ফলে পাংশা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় বিভিন্ন এলাকায় সরকারী জমি বের করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভীষন কেউ গৃহহীন থাকবে না এ বিশেষ কাজ আমরা করে যাওয়ার চেষ্ঠা করছি, আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমাদের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে পারব।

পাংশা উপজেলার শরিসা ইউনিয়নে ২২৮টি, কসবামাজাইল ইউনিয়নে ৪৯টি, মৌরাট ইউনিয়নে ৪২টি, হাবাসপুর ইউনিয়নে ৪২টি, বাহাদুপুরপুর ১৫টি, মাছপাড়া ০৮টি, বাবুপাড়া ১০টি, কলিমহর ৪৯টি,

যশাই ১২টি ও পাংশা পৌর সভায় ১০২টি সর্ব মোট ৫৫০টি ঘর নির্মান করা হয়েছে ভূমিহীনদের জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে সুবিধাভোগীদের মধ্যে দলিল হস্তান্তর করার মধ্য দিয়ে এ কাজ সম্পূন্য হবে। এ ঘর পেয়ে সকলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেন।

Related Articles

Back to top button