দৈনিক খবর

‘সিনিয়রদের বাদ দেওয়া ভালো না খারাপ, ট্রফিই তার প্রমাণ’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ইতিহাসে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ঘরে তুলল নিজেদের চতুর্থ শিরোপা। টুর্নামেন্টের এবারের আসরের ফাইনালে মাশরাফি বিন মতুর্জার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে শেষ হাসিটা হেসেছে ইমরুল কায়েসের দল। একই সঙ্গে ফাইনালে না হারার রেকর্ড অক্ষুণ্ণও রেখেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি দলটির।

কুমিল্লা হেরেছিল প্রথম তিন ম্যাচ, এরপর টানা ১১ ম্যাচ জিতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। এরপর শিরোপা সঙ্গে করেই সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক নাফিসা কামাল। তার সঙ্গে ছিলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। সেখানেই নাফিসা জানিয়েছেন, সবসময়ই দলের প্রতি বিশ্বাস ছিল তার। তিনি বলেছেন, আশা না, আসলে বিশ্বাস ছিল চ্যাম্পিয়ন হবো। কীভাবে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে এটার পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করেছিলাম। চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া কোনো অপশন ছিল না। কামব্যাকটা একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছিল, কামব্যাকটা করার জন্য চট্টগ্রামে একসঙ্গে হলাম। পরিকল্পনা কীভাবে বদলাতে হবে, কীভাবে করলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।

কুমিল্লায় খেলেননি সিনিয়র কোনো ক্রিকেটার। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি একবার আনুষ্ঠানিকভাবেই ঘোষণা দিয়েছিল এ নিয়ে। প্রসঙ্গটি আসে নাফিসার সংবাদ সম্মেলনেও। তিনি বলছিলেন, ‘চারটা কাপ জিতে এসেছি, এটাই টপিক হওয়া দরকার..। ’ ওই সিদ্ধান্ত কেমন ছিল এমন প্রশ্নে শেষ অবধি নাফিসা বলেছেন, ‘কল (সিনিয়রদের না নেওয়া) ভালো না খারাপ দেখিয়ে দিলো (ট্রফি), এটাই তো প্রমাণ। ’

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স শুরু থেকেই বেশ গোছানো দল। মাঠ ও মাঠের বাইরে বেশ পেশাদারও। মোটামুটি একই কোচিং স্টাফ ও ক্রিকেটারদের নিয়েই খেলছে তারা। বাকি দলগুলোর সঙ্গে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পার্থক্য কোথায়? নাফিসা বলছেন, ধারাবাহিকতা। তিনি বলেছেন, আমি অনেক বেশি পার্থক্য পাই এখনকার বিপিএলগুলোতে। আগে এত পেতাম না। এখন যেহেতু আমরা আরও এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা ১৫ সাল থেকে এখানে আছি। আমাদের ধারাবাহিকতা গুরুত্বপূর্ণ। এখন যখন আমরা বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করি। অনেক কথা হয়েছে টাকা-পয়সা নিয়ে। শুধু টাকা থাকলেই যে বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়া যাবে এমন কোনো কথা না। অ্যাজেন্ট, বিদেশি খেলোয়াড়দের কাছ থেকে প্রথম কল পাই যখন তারা বিপিএলে এভেইলেবল থাকে। অন্য দলগুলোর অনেক আগেই কল আসে।

তিনি আরও বলেন, অক্টোবর মাসের ১৭ তারিখ আমরা ‍সুনীল নারিন ও মঈন আলিকে সাইন করিয়েছি এলিমেনটর ও ফাইনালের জন্য। অন্য দলগুলো ভাবতেই পারবে না এটা। আমরা ওভাবেই চিন্তা করি। আমরা অনেক লম্বা চিন্তা করি এবং আমাদের নেটওয়ার্ক এখন বিশ্বজুড়ে অনেক শক্তিশালী। তারা দুজনেই ২০১৫ সাল থেকে আছে। আমাদের সাপোর্ট স্টাফ, কোচিং স্টাফ। আলাদা একটা সংস্কৃতি। এটা অনেক সহজ হয়ে যায় আমাদের জন্য।

এর আগে গতকাল মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে সিলেটকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ৫২ বলে ৭৯ রান করে কুমিল্লার জয়ের নায়ক জনসন চার্লস। ১৬ তম ওভার পর্যন্ত ম্যাচ ছিল হাড্ডাহাড্ডি। কিন্তু রুবেল হোসেনের ১৭তম ওভারেই ঘুরে যায় খেলার মোড়। গুরুত্বপূর্ণ সে ওভারে ২৩ রান দিয়েছেন ডানহাতি এ বোলার। আর তাতে খেলার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় কুমিল্লার হাতে। ৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা।

Related Articles

Back to top button