দৈনিক খবর

উন্নত জাতের গরু পালনে স্বাবলম্বী হুমায়ুন কবির!

বিদেশি ৫টি গরু দিয়ে খামার শুরু করে এখন তার খামারে ৩৩ গরু রয়েছে। এই ৩৩টি গরুর মধ্যে ৩টি গরু রয়েছে যেগুলো বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন। ঈদের সময় গরু ও সারাবছর দুধ বিক্রি করে প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। উন্নত জাতের গরুর খামার দিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন চাঁদপুরের হুমায়ুন কবির।

খামারি হুমায়ুন চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে সূচিপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের নরিংপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উন্নত জাতের বিদেশি গরু পালনে স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে তার খামারে ফ্রিজিয়ান জাতের ১৬ টি গাভি ও ১৪ টি বাছুরসহ ৩টি ষাঁড়ও রয়েছে। তিনি সহ আরো ৪ জন শ্রমিক নিয়মিত খামারে কাজ করেন। পানি নিষ্কাশন সহ সব ধরনের সুবিধা রয়েছে তার খামারে। এছাড়াও তিনি তার খামারের প্রতিটি গরুর মাথার উপর ফ্যান রেখেছেন।

হুমায়ুন কবির বলেন, ১৯৮৩ সালে ভূল চি’কিৎসার কারণে আমার বাম হাত কেটে ফেলতে হয়। ছোটকাল থেকে ব্যবসা করার ইচ্ছা থেকে গবাদি পশু পালনের চিন্তা করি। তারপর ২০১৮ সালে মায়ের নামে “নূরজাহান গবাদি পশুর খামার“ নামে খামার শুরু করি। বর্তমানে আমার খামারে ৩৩টি গরু রয়েছে। আমি গরুকে ঘাস, খর, চিটা, খৈল, ভূসি ইত্যাদি খাওয়াই। খামারের কারণে নিজের পাশাপাশি কিছু বেকার যুবকেরও কাজের ব্যবস্থা হয়েছে। গরু মোটাতাজা করণে কোনো প্রকার পার্শপ্রতিক্রিয়া ব্যবহার করিনা। সম্পূর্ন নিরাপদ ভাবে মোটাতাজা করি।

তিনি আরও বলেন, আমার খামারে নিয়মিত ৪ জন শ্রমিক কাজ করে। পাশাপাশি আরো ৮-১০ জন দৈনিক কাজ করেন। একজন পশু ডাক্তার আছেন। তিনি কয়েকদিন পর পর এসে গরুগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যান। বর্তমান খামারে গরুর কোন রোগ-বালাই নেই, প্রতিটি গরু সুস্থ্য রয়েছে। খামারের গরু মোটাতাজাকরণ ও দুধ বিক্রি করে বছরে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমার খামারে বর্তমান প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার গরু রয়েছে।

এদিকে, এলাকার অনেক বেকার যুবক হুমায়ুনের খামার দেখে খামার তৈরিতে আগ্রহী হচ্ছেন। আশা করা যাচ্ছে খামারে করার মাধ্যমে নিজেদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছেন। অনেকে খামার করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

Related Articles

Back to top button