দৈনিক খবর

বিনোদন অঙ্গনে শোকের ছায়া, মারা গেলেন তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী

গতকাল সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউডের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী বেলা বসু (৮২)। তার মৃত্যুর খবরে গোটা বিনোদন অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের কালো ছায়া। তাকে সারাজীবনের মতো হারানোর বিষয়টি যেন একদমই মেনে নিতে পারছে না কেউই।

তরুণ প্রজন্মের অনেকেই হয়ত বেলা বোসকে চেনেন না। তবে ষাটের দশকে নিজের দক্ষতা দিয়ে বলিউড জয় করেছিলেন এই বাঙালি মেয়ে। তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে মানুষের কাছে। কিন্তু বেলা নৃত্যে পারদর্শী।

শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে বলিউড গান, সব নৃত্যেই সমান পারদর্শী ছিলেন বেলা। একজন নর্তকী হিসেবে তিনি একসময় এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন যে অনেকেই তাকে হেলেনের সাথে তুলনা করতেন। হেলেন, অরুণা ইরানির মতো তারকাদের সঙ্গে বেলার নামও উচ্চারিত হয়েছিল।

হিন্দি ছবিতে দলগত নৃত্যশিল্পী হিসেবে ছোটখাটো সুযোগ পেতেন বেলা। এটাকে পেশা হিসেবে নিন। বেলার গুণ ছিল যে তিনি হৃদস্পন্দনে যেকোনো নাচে আয়ত্ত করতে পারতেন।

এই নাচের কারণেই বলিউডে কাজ করার সুযোগ এসেছিল বেলার। বেশ কিছু ছবিতে নাচের দলে ছিলেন তিনি। কিন্তু বেলা তার বয়সের জন্য লম্বা এবং চিকন ছিল। নৃত্য দলের বাকিদের সাথে ছিমছাম চেহারা ছিল স্টেপের বাইরে। ফলস্বরূপ, তিনি প্রায়ই নাচ থেকে বাদ পড়েছিলেন।

বলিউডে একক নৃত্যশিল্পী হিসেবে বেলার প্রথম বিরতি ছিল ‘‘ম্যাঁয় নশে মে হুঁ’ ছবিতে। রাজ কাপুর এবং মালা সিনহা অভিনীত ছবিতে বেলার নাচের চালগুলি নজর কেড়েছিল। এরপর ১৯৬২ সালে ২১ বছর বয়সে বেলা বলিউডে প্রথম অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

১৯৬৬ সালে ‘নাগিন অউর সপেরা’ ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বেলা। বিপরীতে নায়ক ছিলেন মনোহর দেশাই। বেলার কেরিয়ারে উল্লেখযোগ্য বাকি ছবি হল ‘বন্দিনী’, ‘প্রফেসর’, ‘আম্রপালী’, ‘শিকার’, ‘প্রেমপত্র’, ‘জিদ্দি’, ‘চিত্রলেখা’, ‘পুনম কে রাত’, ‘বক্সার’, ‘অভিনেত্রী’ এবং ‘জয় সন্তোষী মা’।

অনেকটা ইচ্ছা করেই অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন সবার প্রিয় এই অভিনেত্রী। দীর্ঘদিন ক্যামেরার বাইরে থাকার পর অবশেষে অনেকটা নীরবেই বিদায় নিলেন তিনি।

Related Articles

Back to top button