Entertainmentদৈনিক খবর

তুমি হিরো হলে ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেবো, শুটিং সেটে মিঠুনকে পরিচালক

কোটি কোটি ভক্তদের হৃদয়ে গেঁথে রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী।  তবে তার এই পর্যায়ে আসাটা খুব একটা সহজ ছিল না।  অক্লান্ত পরিশ্রম এবং নিজের অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা সহ্য করে তিনি আজ সুপারস্টার।

অভিনয়ে তার কারিশমা এখনো অটুট। কিন্তু কলকাতা থেকে মুম্বই এই দীর্ঘ যাত্রা মোটেও সহজ ছিল না। আধবেক করা খাবার থেকে শুরু করে ঘুমহীন রাত… সবই আজ অতীতের কথা।

এক সাক্ষাৎকারে মিঠুন তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দেন। সে সময় এক পরিচালকের কটূক্তির শিকার হন তিনি। শুটিং সেটে তরুণ মিঠুনকে দেখে ভালো লাগেনি পরিচালকের।

মিঠুন বলেন, একজন বড় পরিচালক আমাকে একবার বলেছিলেন, নায়ক হতে পারলে ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেব। পরে যদিও তিনি আমার সঙ্গে একটি সিনেমা করেছিলেন। আর সেই সিনেমা সুপারহিট হয়ে যায়। কিন্তু আমি কখনো তাকে অসম্মান করিনি।

এদিকে ক্যারিয়ারের শুরুতে কত পারিশ্রমিক পেতেন তাও জানিয়েছেন মিঠুন। ১৯৭৯ সালে, তিনি বাসু চ্যাটার্জির ‘প্রেম বিশ্ব’-এ অভিনয় করেন। সে সময় তার কোনো গাড়ি ছিল না। আর পারিশ্রমিক? মিঠুন জানান, সিনেমার মেকআপ আর্টিস্টও তার থেকে বেশি পারিশ্রমিক নিতেন।

তিনি বলেন, ওই সিনেমার জন্য আমি পাঁচ হাজার টাকা পাই। আর তারা পেয়েছেন সাড়ে সাত থেকে আট হাজারের মতো। ৭৫ টাকায় একটা বাড়িতে থাকতাম। একটি ট্রাউজার এবং দুটি শার্ট ছিল। কোনোমতে দুটো জুতা পাওয়া যায়।

তবে ১৯৭৭ সালে ‘মৃগয়া’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পান মিঠুন। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি তখনও তাকে আপন করে নেয়নি। মিঠুন ১৯৮২ সালে তার বড় ব্রেক পান। ‘ডিস্কো ডান্সার’ মুক্তি পায়। এরপর অবশ্য আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক আঘাত। তার ডিস্কো ডান্স এমনকি নেতৃস্থানীয় অভিনেতাদের ভয় পায়। তিনি নিজের যোগ্যতায় মুম্বাই গিয়ে সাফল্য অর্জন করেন। সেই ধারা এখনো চলছে। কিন্তু তিনি তার শিকড় ভোলেননি। তাই বারবার ফিরেছেন বাংলা চলচ্চিত্রে।

ছোট পর্দার বিচারকের ভূমিকায়ও দেখা গেছে তাকে। গত বছর মিঠুন ও দেব অভিনীত ‘তিতলি’ ছবিটি মুক্তি পায়। সেই সিনেমা সুপারহিট হয়। তার হাতে বেশ কিছু সিনেমাও রয়েছে। অনেক বছর পর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন তিনি। এছাড়া হাতে আছে ‘বাপ’- মিঠুন ছাড়াও সেই সিনেমায় থাকবেন সানি দেওল, সঞ্জয় দত্ত, জ্যাকি শ্রফ।

প্রতিটা সফল ব্যক্তির পিছনে একটি করে গল্প থাকে।  তবে সুপারস্টার হতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর যত পরিশ্রম রয়েছে তা কোন সুপারহিট সিনেমার থেকে কম নয়।  অনেক মানুষের অপমান অপদস্ত হয়েও কখনো পেছে ফিরে তাকাননি। যার ফলে আজ সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে রাজ করছেন এই জনপ্রিয় অভিনেতা।

Related Articles

Back to top button