দৈনিক খবর

সবজি চাষে লাভবান সীমান্তবর্তী এলাকার কৃষকরা

অন্যান্য ফসলের তুলনায় কুমড়া চাষে খরচ কম। আর কুমড়া চাষে প্রায় ৩গুণ লাভবান হওয়া যায় বলে এখানকার চাষিরা কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন। কুমড়া চাষে লাভবান নেত্রকোনার চাষিরা।

নেত্রকোনার সীমান্তসংলগ্ন কলমাকান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাষিরা কুমড়া চাষে লাভবান হচ্ছেন। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় চাষিরা ধানের পরিবর্তে কুমড়া চাষ করছেন। কুমড়া চাষে লাভবান হয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। ধানের চেয়ে কুমড়া চাষে খরচ কম ও ৩গুণ লাভ হয় বলে চাষিরা ধান চাষ না করে কুমড়া চাষ করছেন।

চলতি মৌসুমে কলমাকান্দা উপজেলায় ২০০ হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষ করা হয়। এসব জমিতে মিষ্টি কুমড়া ও চাল কুমড়া চাষ করা হয়েছে। চাষিরা দিন দিন কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন।

রহিমপুর গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, আমি কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ৩০ শতক জমিতে কুমড়া চাষ করেছি। জমিতে কুমড়ার ভালো ফলন হয়েছে। আর প্রতি শতক কুমড়া ১০০০ টাকায় বিক্রি করেছি। এতে প্রতি শতকে ৭০০ টাকা করে লাভ হয়েছে। প্রতি শতকে ৩০০ টাকা খরচ হয়েছে।

রহিমপুর গ্রামের আরেক চাষি হানিফ বলেন, আমি ৩০ শতক জমিতে চাল কুমড়া চাষ করেছি। চাল কুমড়া চাষে ৮-৯ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করছি ২০-২৫ হাজার টাকার চাল কুমড়া বিক্রি করতে পারবো।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান তরফদার বলেন, কৃষকরা চাষ কুমড়া চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আশা করছি আগামীতে কুমড়ার চাষ আরো বাড়বে। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ফারুক আহমদ বলেন, ধান চাষে সময়, খরচ ও পরিশ্রম বেশি লাগে। আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করছি। কৃষকরা কম খরচে, সময়ে ও কম পরিশ্রমে কুমড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

Related Articles

Back to top button