অ্যাম্বুলেন্সের চালক টানা ২৬ ঘণ্টা ডিউটিতে ছিলেন: পুলিশ
আজ ভোর রাতে শরীয়তপুরের জাজিরায় ট্রাকের পেছনে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কা ছয়জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানা সংলগ্ন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। টানা ২৬ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে চালক ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারনা করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) ভোরে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজার কাছে ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সটি। এ ঘটনায় ছয় আরোহী নিহত হন। অ্যাম্বুলেন্সটি চালাচ্ছিলেন রবিউল ইসলাম যিনি নিজেও নিহত হয়েছেন। নিহত রবিউল খুলনার দিঘলিয়ার চন্দনিমহল এলাকার কাওসার হাওলাদারের ছেলে। এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ প্রাথমিকভাবে বলছে, রোগী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে সোমবার রাত পৌনে চারটার দিকে চলন্ত ট্রাককে ধাক্কা দিলে চালকসহ ছয়জন মারা যান।
এদিকে নিহতরা হলেন- রোগী জাহানারা বেগম (৫৫), স্বাস্থ্যকর্মী ফজলে রাব্বি (২৮), রোগীর মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমা (৩০), গাড়ি চালক জিলানি (২৮), গাড়ির হেলপার রবিউল ইসলাম (২৬) ও সাংবাদিক মাসুদ রানা (৩০)। এর মধ্যে রবিউল ইসলামের বাড়ি ঢাকার খিলগাঁওয়ের তালতলা এলাকায়। এ ছাড়া মাসুদ রানা এক দৈনিক পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো চিফ।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হক বলেন, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের টোল প্লাজার ২০০ থেকে ৩০০ মিটার সামনে ভোররাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা জেনেছি, অ্যাম্বুলেন্সের চালক রবিউল টানা ২৬ ঘণ্টা ডিউটিতে ছিলেন। এ কারণে তিনি ক্লান্ত ছিলেন। সম্ভবত গাড়ি চালাতে চালাতে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এ কারণে চলন্ত ট্রাককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটি ট্রাকের নিচে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই চালকসহ গাড়িতে থাকা ছয়জন প্রাণ হারান।
হাইওয়ে পুলিশের ফরিদপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. মারুফ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত ছয়জনের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সচালক রবিউলের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের স্বজনেরা এলে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।