দৈনিক খবর

অনেক চিকন ছিলাম, সবাই চেঙ্গিস ডাকতো: শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, কলেজে পড়াকালীন প্রচুর খেলাধুলা করতাম। তখন অনেক চিকন ছিলাম, তাই সবাই চেঙ্গিস ডাকতো। যখন সব খেলাতেই আমি চ্যাম্পিয়ন হতে থাকলাম তখন সবাই বলতে লাগল এই চেঙ্গিস খান কেডা।

তখন আমার স্যার তাদের বলেছিল ও শামসুজ্জোহার ছেলে খান সাহেব ওসমান আলীর নাতি। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) মিজমিজি পশ্চিমপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমার পরিচয় জানার পর তখন সবাই একটু কেমন করে তাকাতো। আমার কাছে আসতে চাইত না। আমার বাবা সেটা আগেই জানতেন। তিনি আমার রাজনৈতিক জীবনের শিক্ষক।

শামীম ওসমান বলেন, আমার বাবা আমাকে দুটে জিন্সের প্যান্ট দুটো শার্ট ও একটি জামা দিয়েছিলেন কলেজে যাওয়ার জন্য। তিনি বলেছিলেন তোমার ক্লাসের সবচেয়ে নিরীহ ছেলেটিও যেন তোমার সাথে মিশতে পারে তোমাকে এমন ভাবে চলতে হবে।

তিনি বলেন, আমি তখন তোলারাম কলেজের ভিপি। আব্বা জেলে, বড় ভাই কাদেরিয়া বাহিনীতে। আমার পরীক্ষার ফরম ফিলাপের পয়সা ছিল না। নয়শো টাকার জন্য ফরম ফিলাপ করতে পারছিলাম না। তখন আমার স্যার তোলারাম কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল জীবন কানাই চক্রবর্তী আমার ফরম ফিলাম করে দিয়েছিলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, ধর্মটাকে সম্মান করো। ধর্ম নিয়ে লেখাপড়া করো। আরেকটা ব্যাপার হল যাদের মা বাবা আছে, চেষ্টা করো ছোট ছোট জিনিস দিয়ে বাবা মাকে খুশি রাখতে। এটাই হবে তোমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

আমার বাবা মা নেই। এই অনুভূতি কত কষ্টের এটা যাদের বাবা মা নেই তারাই বোঝে। আর দেশের জন্য অন্তত একটি ভাল কাজ করো। এ দেশটাকে সুন্দর করতে একজন মহিলা যার বাবা মা সবাইকে আমরা মেরে ফেলেছি তিনি এ দেশটাকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন।

তার জন্য তোমরা দোয়া করো। এই এলাকায় যেন কোন ইভটিজিং না হয়। কেউ যেন মাদক বেঁচতে না পারে। তোমরা যদি একসাথে থাকো কেউ মাদক বেঁচতে পারবে না কেউ ইভটিজিং করতে পারবে না।

Related Articles

Back to top button