কুমিলায় ট্রেন দূর্ঘটনায় স্থানীয়রা বলেন জন্মের পর এমন আওয়াজ শুনিনি যাত্রীদের টেনে টেনে বের করেছি, জানা গেল হতাহতের সংখ্যা
সাম্প্রতিক কুমিল্লা ঘটে গেল ভয় ভরে ট্রেন দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনায় ট্রেনের দুইটি ভোগে একদম চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা ঘটনার ভয়াবহ বর্ণনা সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরে।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেলস্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনায় কেঁপে উঠেছে পুরো হাসানপুর বাজার। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন যাত্রী। পরে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রোববার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা খোকন মিয়া জানান, ইফতারের পর আমরা মাগরিবের নামাজ শেষ করে নামাজে বসলাম। এমন সময় বিকট শব্দ শুনতে পেলাম, যেন বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। জন্মের পর এমন আওয়াজ শুনিনি। সবাই খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলো। এরপর ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসে দেখি ট্রেনের বগিগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
পরে ভেতরে থাকা লোকজন বের হওয়ার চেষ্টা করছেন। এরপর আমরা স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে অনেক চেষ্টা করি ভেতরের মানুষগুলোকে বের করে আনার জন্য। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে যাত্রীবাহী বাস পাওয়া যায়। এত বড় দুর্ঘটনা জীবনে দেখিনি। যাইহোক, ঈশ্বরের অসীম রহমতে, কেউ মারা যায়নি।
রোববার বেলা ১১টার দিকে দুর্ঘটনার পর কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম ও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
কুমিল্লা এই ট্রেন দুর্ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন। তারা বর্তমানে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন। সৌভাগ্যের বিষয় হলো এই দূঘটনায় কারো মৃত্যু হয়নি।
